মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাঁকসা: তারাপীঠের মহাশ্মশানে ভাদ্র মাসের কৌশিকী অমাবস্যা (Kaushiki Amavasya) তিথিতে বামদেব সিদ্ধি লাভ করেছিলেন বলে ধর্মীয় বিশ্বাস। তারপর থেকে এই অমাবস্যার রাতে সিদ্ধি লাভের আশায় তারাপীঠ সহ বিভিন্ন শক্তি পীঠে তান্ত্রিক এবং জ্যোতিষীরা তন্ত্রসাধনা করেন। তারাপীঠের আনাচে-কানাচে উপচে পড়ে ভিড়।
আরও পড়ুন: 'পুরো সিস্টেমটা বাজে নয়, সব পুলিশ খারাপ নয়' প্রতিবাদের আরও এক রাত কাটিয়ে বললেন লগ্নজিতা
তারাপীঠের থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত রাজা লক্ষণ সেনের আরাধ্যদেবী কাঁকসার গড় জঙ্গলের অবস্থিত শ্যামরূপা মন্দিরেও (Kanksha Shyamarupa Temple) হয় কৌশিকী অমাবস্যা তিথিতে যজ্ঞ। ৮০০ কেজি বেলকাঠ আর দশ কেজি ঘি দিয়ে নবদ্বীপের শিব ভক্ত ব্রাহ্মণ সমাজ আসেন যজ্ঞ করতে। ১২ ঘণ্টা ধরে এক নাগাড়ে চলে মন্ত্র উচ্চারণ। তবে সিদ্ধি লাভের আশায় নয় এ যজ্ঞ সপ্তসতী চণ্ডী মঙ্গলযজ্ঞ। এখানে সারা পৃথিবীর মানুষের মঙ্গল কামনা করা হয়। কৌশিকী অমাবস্যা তিথিতে কাঁকসার গড় জঙ্গলের শ্যামরূপা মন্দিরে রাজ্যের ব্যতিক্রমী এই যজ্ঞে দূর-দূরান্তের ভক্তদেরও সমাগম হয়।
কৌশিকী অমাবস্যা তিথিতে এখানে যজ্ঞে অংশে নেওয়া নবদ্বীপের শিব ভক্ত বাবুলাল গোস্বামী বলেন, "আমরা গত ১০ বছর ধরে সুরত রাজা এবং লক্ষণ সেনের গড় জঙ্গলের মাঝে শ্যামরূপার মন্দিরে আসি যজ্ঞ করতে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অধর্মের ঘটনা ঘটছে সেই অধর্মের বিনাশের সঙ্গে সারা পৃথিবীর মানুষের মঙ্গল কামনা করি। কৌশিকী অমাবস্যা তিথিতে সপ্তসতী চণ্ডী মঙ্গলযজ্ঞ রাজ্যের মধ্যে এই মন্দিরেই হয়। আমরা যজ্ঞ শেষে নরনারায়ণ সেবারও ব্যবস্থা করি।"
শ্যামরূপা মন্দিরের সেবাইত সন্তোষ রায় বলেন, "মায়ের মন্দিরে কৌশিকী অমাবস্যা তিথিতে অনেকেই আসেন পুজো দিতে। নবদ্বীপের বহু মানুষ আসেন পৃথিবীর মানুষের মঙ্গল কামনায়। সারা রাত ধরে যজ্ঞ করেন। তান্ত্রিক ও জ্যোতিষী থেকে সাধারণ ভক্তরা আসেন এখানে। আমরা সমস্ত রকমভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিই।"
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।