কলকাতা: বাড়তি নিরাপত্তা ও দ্রুত সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হলেন বালির নিহত তৃণমূল কর্মী তপন দত্তর স্ত্রী প্রতিমা দত্ত। এবিষয়ে কথা বলার জন্য রাজ্যপালের কাছে সময় চেয়ে, রাজভবনে গিয়ে চিঠি জমা দিয়েছেন তিনি। তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
প্রতিমা দত্তের কথায়, আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যে কোনও মুহূর্তে প্রাণ সংশয় হতে পারে। গত বৃহস্পতিবার বালির তৃণমূল নেতা তপন দত্ত খুনে CBI তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তার চারদিনের মাথায় রাজভবনে হাজির নিহতের স্ত্রী প্রতিমা দত্ত।
বাড়তি নিরাপত্তা ও দ্রুত সিবিআই তদন্ত দুই আর্জি নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়ে আবেদন করেছেন প্রতিমা দত্ত। বর্তমানে প্রতিমা দত্তর পরিবারের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন রাজ্য পুলিশের এক সশস্ত্র কনস্টেবল কিন্তু, প্রতিমার দাবি, একজন রক্ষী নিয়ে নিরাপদ বোধ করছেন না তিনি।
আরও পড়ুন: Post Poll Violence: 'সিবিআই প্রণম্য, আমি তো মিষ্টি খাওয়াব' জিজ্ঞাসাবাদের পর উচ্ছ্বসিত বিজেপি নেতা
প্রতিমা দত্ত আরও বলেন, আমার কাছে একজন মাত্র সিকিওরিটি আছে। মনে হয় না নিরাপদ। অন্তত ৩ জন সিকিওরিটি চাইছি। সিবিআইয়ের অর্ডার বেরিয়ে গেছে। তারপরেও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তা যাতে ত্বরাণ্বিত হয়, তা রাজ্যপালকে জানাতে চাই।
২০১১ সালের ৬ মে নিশ্চিন্দা রেলগেটের কাছে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় বালির তৃণমূল নেতা ও পরিবেশকর্মী তপন দত্তকে। তাঁর স্ত্রী অভিযোগ করেন, এলাকার জলাভূমি ভরাটের বিরুদ্ধে আন্দোলন করায় প্রোমোটারদের সঙ্গে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে তপন দত্তকে খুন করা হয়েছে৷
অভিযোগ ছিল, তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি ও রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়-সহ দলের বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে৷ ২০১১ সালের অগাস্ট মাসে CID’র পেশ করা প্রথম চার্জশিটে নাম ছিল অরূপ রায়-সহ ১৩ জন তৃণমূল নেতার কিন্তু, সেপ্টেম্বরে একটি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করে CID৷
সেখানে কোনও কারণ না দেখিয়েই অরূপ রায়-সহ ৮ জনের নাম বাদ দেওয়া হয়৷ এরপর, ২০১৪ সালের ৬ ডিসেম্বর, প্রমাণের অভাবে অভিযুক্ত বাকি ৫ জনকে বেকসুর খালাস করে হাওড়া আদালত। ১১ বছর পর সেই খুনের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।