মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: সত্যিই ভুল (mistake)? নাকি জেনেবুঝেই সিপিএম (cpm) নেত্রীকে ২১ জুলাই (21 july) নিয়ে ফোন করা হয়েছে? আপাতত এই প্রশ্নে তোলপাড় দুর্গাপুর (durgapur)। বিষয়টি নিয়ে দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশে অভিযোগও (complaint) দায়ের হয়েছে। কিন্তু এত আলোড়ন কেন?


ফোন-বিতর্ক 


২১ জুলাই তৃণমূলের (tmc) সমাবেশে ধর্মতলা যাওয়া নিয়ে কোনও অসুবিধা রয়েছে কিনা জানতে সিপিএম নেত্রী সুরভি ঘোষের কাছে একটি ফোন আসে বলে অভিযোগ। ফোনটি অবশ্য সিপিএম নেত্রী ধরেননি। ধরেছিলেন তাঁর স্বামী নয়ন ঘোষ। দম্পতির প্রশ্ন, তৃণমূলের সমাবেশে যাওয়া নিয়ে তাঁদের কাছে এমন ফোন কেন? যিনি ফোন করেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি তোলেন সিপিএম নেতৃত্ব। জানতে চাওয়া হয় ফোনের আসল উদ্দেশ্যও। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানাতে মঙ্গলবার সকালে দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানায় জড়ো হন দলের নেতাকর্মীরা। স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয় থানায়। সব মিলিয়ে আলোড়ন।


কী বলছে তৃণমূল?


শাসকদলের অবশ্য দাবি, গোটাটাই ভুল বোঝাবুঝি। তাদের দাবি, স্থানীয় কাউন্সিলরকে ফোন করতে গিয়েছে ভুল করে সিপিএম নেত্রী সুরভি ঘোষকে ফোন করা হয়েছে। ঘটনাচক্রে গত পুরভোটে সুরভি এখানকার বাম প্রার্থী ছিলেন। তৃণমূলের বক্তব্য, পুলিশ প্রশাসন থেকে তাঁদের কাছেও ২১ জুলাই নিয়ে খোঁজখবর করা হচ্ছে। কত জন যাবেন সেই বিষয়ে জানতে চাইছে পুলিশ। সেই তথ্য জোগাড় করতে গিয়েই ভুল করে সুরভিকে ফোন করা হয়, পাল্টা যুক্তি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। সিপিএমের অন্দরে অবশ্য এই ব্যাখ্যা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। কাউন্সিলরকে ফোন করতে গিয়ে ভুল করেই বা স্থানীয় সিপিএম নেত্রীর কাছে কী ভাবে ফোন চলে গেল, সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না অনেকে। 


উত্তর খুঁজতে তোলপাড় দুর্গাপুর। এদিন সকালে নিউ টাউনশিপ থানার সামনে জমায়েত হয় সিপিএম নেতাকর্মীদের।


আরও পড়ুন:বাকিদের থেকে বেশি মশা কামড়ায়? কেন এমন হয় জানেন?