কলকাতা: ফুলবাগানে (Phoolbagan) বিচারকের গাড়ির ধাক্কায় (Car Accident) আহত এক মহিলা-সহ তিন পথচারী। একজনের পায়ের ওপর দিয়ে চলে যায় গাড়ির চাকা। বিচারকের গাড়ির চালককে গ্রেফতার করেছে ফুলবাগান থানার পুলিশ (Phoolbagan Police Station)। এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ফুলবাগানের শিবকৃষ্ণ দাঁ লেনে দুর্ঘটনা ঘটে।
নিম্ন আদালতের বিচারকের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পরপর তিন পথচারীকে ধাক্কা মারে। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তার পাশে গাড়ি দাঁড় করিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপান করেন বিচারকের গাড়িচালক। মত্ত অবস্থায় বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাতে গিয়েই দুর্ঘটনা বলে অভিযোগ। দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে ছিলেন না বিচারক।
অন্যদিকে বিকল পুলিশ জিপে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের। আজ সকাল ছ-টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে রানিগঞ্জ থানার দু-নম্বর জাতীয় সড়কের মঙ্গলপুর মোড়ে। পুলিশসূত্রে খবর মৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারের নাম অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এ দিন সকাল ছ-টা নাগাদ হঠাৎই পুলিশ জিপটি বিকল হয়ে যায়।
জিপটিতে মেরামতির কাজ করছিল গাড়ির চালক। পাশেই দাঁড়িয়েছিল অভিজিৎ। সেই সময়ে লরিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সজোরে জিপটিতে ধাক্কা মারে। আর তাতেই গুরুতর জখম হন সিভিক ভলেন্টায়ার অভিজিৎ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রানিগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। লরিটিকে আটক করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘাটাল-চন্দ্রকোনা রাজ্য সড়কে, ভৈরবপুর এলাকায় দুর্গটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দ্রুত গতিতে চন্দ্রকোণা থেকে ঘাটালের দিকে যাচ্ছিল একটি পুলিশের গাড়ি। দ্রুত গতিতে এসে গাড়িটি ধাক্কা মারে ষাট ছুঁইছুঁই এক ব্যক্তির মোটর সাইকেলে। তাতে মোটর সাইকেল নিয়ে পড়ে যান বাবলু। আচমকা এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। তড়িঘড়ি ওই প্রৌঢ়কে তুলতে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। কথা বলে জানা যায়, তাঁর নাম বাবলু ভূঞ্জা। খেজুরডাঙার বাসিন্দা তিনি।
আরও পড়ুন: ঘুরপথে ভাড়া বাড়ানোর ভাবনা রেলের ? স্টেশন আধুনিকীকরণে যাত্রীদের থেকে লেভি আদায়ের ভাবনা
কিন্তু এর পরেই তুমুল ঝামেলা বেঁধে যায় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তাঁদের দাবি, আহতকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে, গাড়িটি কোন দিকে, কী ভাবে এসে ধাক্কা মারল, তা নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে ওঠে ভিড়। অথচ প্রৌঢ়কে ধাক্কা মেরে তত ক্ষণে ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে গিয়েছে পুলিশের গাড়ি।
সেই পরিস্থিতি ক্রমশ তেতে ওঠে। তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। তাতে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পড়ে পুলিশই এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এর পর স্থানীয়দের উদ্যোগেই শেষমেশ প্রৌঢ়কে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে বলে জানা গিয়েছে।