ভাস্কো: মুম্বই সিটির বিরুদ্ধে লড়াই করেও জয় আসেনি। ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে লাল হলুদ বাহিনীকে। তবুও ছেলেদের খেলায় খুশি দলের অন্তর্বর্তী কোচ রেনেডি সিংহ (renedy singh)। শুক্রবার ম্যাচের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রেনেডি (renedy singh) বলেন, ''সত্যিই আমি গর্বিত। আপনারা সবাই দেখেছেন ওদের পারফরম্যান্স। গর্ব করার মতোই খেলেছে। ভাবতে পারছেন, আমরা মাত্র একজন বিদেশি নিয়ে ওদের সেরা চার বিদেশি ফুটবলারের বিরুদ্ধে লড়েছি! আমাদের দলের ভারতীয় ফুটবলাররা এবং চিমা ও শেষের দিকে ড্যারেন সবাই মিলে সেরা ফুটবল খেলেছে। উইথ দ্য বল আমরা আরও ভাল খেলতে পারতাম। তবে সেই সময়টা পাইনি। তবে যে ভাবে ওরা রক্ষণ সামলেছে, তা সত্যিই গর্ব করার মতো।''


গোটা ম্যাচে একটি বিদেশি নিয়ে পারফর্ম করা। কতটা শক্ত? রেনেডি বলছেন, ''যদি কঠোর পরিশ্রম করতে পারো, তা হলে একজন বিদেশি নিয়েও ভাল ফুটবল খেলা সম্ভব। এটা আমাদের সকলেরই বিশ্বাস করা উচিত। মুম্বই এই লিগের সেরা আক্রমণাত্মক দল। ওদের বিরুদ্ধে আমরা যে ভাবে ডিফেন্ড করেছি, তার জেরে একটাও ক্লিয়ার কাট চান্স ওরা পায়নি। আমরা গভীরে ঢুকে রক্ষণ সামলেছি। শেষে আমরা হয়তো একটা গোলও পেতাম।''


চোট-সাসপেনশনের জন্য একাধিক বিদেশি না থাকায় মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে মাত্র একজন বিদেশি ফুটবলারকেই প্রথম একাদশে রেখেছিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচ রেনেডি সিংহ। সেই বিদেশি স্ট্রাইকার ড্যানিয়েন চিমা চুকুই পার্থক্য গড়ে দিলেন। না, ভাল খেলে নয়, অতীব খারাপ পারফরম্যান্স দিয়ে। আটের দশকের শেষদিক থেকে ন’য়ের দশকের শেষদিক পর্যন্ত ভারতীয় ফুটবলে অন্যতম সেরা নাম ছিলেন চিমা ওকেরি। লাল-হলুদের এই নতুন চিমা তাঁর ধারে কাছেও নেই। মরসুম শুরু হওয়ার আগে চিমা নামটার জন্যই অনেক আশায় ছিলেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। কিন্তু তাঁদের হতাশ হতে বেশি সময় লাগেনি। আজকের ম্যাচেও যদি চিমার বদলে অন্য কোনও ভাল স্ট্রাইকার থাকত এসসি ইস্টবেঙ্গল দলে, তাহলে হয়তো ম্যাচটা জিতেই মাঠ ছাড়তে পারত তারা। স্প্যানিশ কোচের বিদায়ের পর দায়িত্ব নিয়ে দলকে লড়াইয়ে ফিরিয়েছেন প্রাক্তন তারকা রেনেডি। তাঁর সময়েও জয় অধরা, কিন্তু ৯০ মিনিট লড়াইটুকু করছেন লাল-হলুদ জার্সিধারীরা। রেনেডির হতাশ হওয়ারই কথা। তিনি সীমিত সাধ্যের মধ্যে যেটুকু পারছেন করছেন। ভাল স্ট্রাইকার না থাকা তো আর তাঁর হাতে নেই।