সুনীত হালদার, হাওড়া: সরকারি প্রকল্পে পানীয় জলের পাইপলাইন (drinking water pipeline) গ্রাম জুড়ে বসলেও, একমাত্র জল পাচ্ছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য (TMC Panchayat Member)। এমনই অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাওড়ায় (Howrah)। এই ঘটনায় তৃণমূলের কড়া সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। বিতর্কের মুখে সাফাই দিয়েছেন শাসক নেতা।  


গ্রামজুড়ে বসেছে পাইপলাইন, কিন্তু জল মিলছে কই?


হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের কমলপুর মিদ্যেপাড়ায় পঞ্চায়েতের তরফে গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য বসানো হয়েছে সাব মার্সিবল পাম্প। কিন্তু কোনও গ্রামবাসীই এখনও জল পাচ্ছেন না। গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রেও পৌঁছয়নি জল। অথচ আশ্চর্যজনক ঘটনা হল, জল শুধুমাত্র পৌঁছেছে তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্যের বাড়িতে। আর এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন। 


স্থানীয় সূত্রে খবর, গ্রামের প্রতিটি বাড়ি ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পানীয় জল পৌঁছে দিতে উদ্যোগ নেয় স্থানীয় পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েতের টাকাতেই প্রায় ৬ মাস আগে গ্রামে সাব মার্সিবল পাম্প বসে। কিন্তু ওই পর্যন্তই। অভিযোগ, বাকি কাজ আর এক কদমও এগোয়নি।


গোটা গ্রামে যখন এই ছবি, তখন দিব্যি পানীয় জল পাচ্ছেন জগৎবল্লভপুর এক নম্বর পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য আবুল ফারাক মিদ্যে। কিন্তু কী করে? তা নিয়ে অবশ্য অদ্ভূত যুক্তি দিয়েছেন শাসক নেতা।


জগৎবল্লভপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য আবুল ফারাক মিদ্যে বলেন, 'আমার বাড়িতে জল এসেছে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই তাই জল পৌঁছয়নি, তবে গ্রামের বাকি লোকেদের বাড়িতেও খুব দ্রুত জল পৌঁছবে।'


আরও পড়ুন: Birbhum News: ১১ লক্ষের বেশি টাকা তছরুপের অভিযোগ, গ্রেফতার অ্যাসিস্ট্যান্ট পোস্টমাস্টার


বাকিরা ‘বঞ্চিত’, শুধু শাসকনেতার বাড়িতে পানীয় জল!


গোটা ঘটনায় কটাক্ষ বিরোধীদের। বিজেপির অভিযোগ, 'গোছানোর সংস্কৃতি তৃণমূলের'। অন্যদিকে তৃণমূলের সাফাই, 'অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে'।


জগৎবল্লভপুর ২ নম্বর মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি সুভাষ রায় বলেন, 'এটাই তৃণমূলের আখের গোছানোর সংস্কৃতি।' অন্যদিকে জগৎবল্লভপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেত্রী ও প্রধান তনুশ্রী দাসের বক্তব্য, 'বিষয়টি জানা নেই, দেখছি কী হয়েছে।'


তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য পানীয় জল পাচ্ছেন। বাকিরা কবে পাবেন? এটাই এখন প্রশ্ন গ্রামবাসীদের।