বাচ্চু দাশ, দার্জিলিং : পঞ্চায়েত ভোটের ( Panchayet Poll ) আগে গ্রামবাংলার উত্তাপ বাড়াচ্ছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ( PM Awas Yojna ) দুর্নীতির অভিযোগ! সদ্য় দুই জেলা থেকে ঘুরে গেছে দুই কেন্দ্রীয় দল ( Central Team ) । তার এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই, আবাস দুর্নীতির অনুসন্ধানে দ্বিতীয় দফায় আরও ৫ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এসেছে বাংলায়। সেই ৫টি দল অনুসন্ধান চালাচ্ছে রাজ্যের ১০টি জেলায়। রাজ্যকে দেওয়া চিঠি অনুসারে, মালদা ও পূর্ব মেদিনীপুর ছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, নদিয়া , মুর্শিদাবাদ , আলিপুরদুয়ার , দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে আবাস-দুর্নীতির অনুসন্ধান চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন :
'আমার কাউকে জবাব দেওয়ার নেই', প্রজাপতি - কুণাল বিতর্ক ফের সোজাসাপ্টা দেব
গ্রাম ছাড়তেই বেধে গেল হাতাহাতি
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির ও স্বজনপোষণের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে, মঙ্গলবার দার্জিলিঙে ফাঁসিদেওয়া গ্রামে যায় কেন্দ্রীয় দল কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা গ্রাম ছাড়তেই বেধে গেল হাতাহাতি! মঙ্গলবার এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল দার্জিলিঙের ফাঁসিদেওয়া। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে, দ্বিতীয় দফায় রাজ্য়ে এসেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।
মঙ্গলবার ফাঁসিদেওয়ার ট্রামবাড়িতে গিয়েছিলেন দুই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি। সঙ্গে ছিলেন বিডিও। বাড়ি বাড়ি ঘুরে অভাব-অভিযোগ শোনেন তাঁরা। ফাঁসিদেওয়ার বাসিন্দা সমীর বর জানান, ' ঘরের জন্য আবেদন করেছিলাম, নাম কাটা গেছে, এক মাস আগে। আজ আমাদের এখানে এসেছেন। স্যরকে জানালাম '
ধাক্কাধাক্কি, গালিগালাজ...বাদ যায়নি কিছুই
প্রায় এক ঘণ্টা এই গ্রামে ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। ততক্ষণ সব ঠিকই ছিল। কিন্তু, তাঁরা গ্রাম ছাড়তেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল ও বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। ধাক্কাধাক্কি, গালিগালাজ...বাদ যায়নি কিছুই। তৃণমূলের অভিযোগ, মিথ্যা অভিযোগে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের কাছে লোক পাঠিয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে বিজেপির দাবি, অভিযোগকারীদের বাধা দিয়েছে তৃণমূল।
বিজেপি নেতা অনিল ঘোষের দাবি, ' অভিযোগকারীর অভিযোগ জানাতে গেলে তৃণমূল বাধা দেয়। তাতেই হাতাহাতি হয়। ' তৃণমূল কংগ্রেস অঞ্চল সভাপতি চন্দন রায়ের পাল্টা দাবি, ' মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের পাঠানো হচ্ছিল, তাই আমরা বাধা দিই। '
আবাস যোজনা নিয়ে তরজার শেষ নেই। কিন্তু প্রশ্ন হল, এসবের আড়ালে আবার প্রকৃত দাবিদাররা বঞ্চিত থেকে যাবেন না তো?