কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : প্রজাপতির সাফল্যের গ্রাফ যেমন চড়ছে, তেমনই উত্তুঙ্গ বিতর্কের পারদ। রাজনৈতিক আকচাআকচি শুরু হয়েছে ছবি ঘিরে। প্রথম বিতর্ক উসকেছিল প্রযোজক দেবের একটি ট্যুইট। শো না পাওয়া নিয়ে দেব ট্যুইটে লেখেন,, 'নন্দনকে এবার খুবই মিস করব। তবে কোনও ব্যাপার নয়। আবার দেখা হবে।'  


এ বিষয়ে ফের একবার মুখ খুললেন, মিঠুন - দেব। এই ছবির সাফল্যের পিছনে অন্যতম কারণই হল স্ক্রিন প্লে , স্ক্রিপ্ট আর প্রযোজকের দৃঢ় বিশ্বাস যে, মিঠুন চক্রবর্তী ছাড়া এ ছবি হয় না। আর দেবের জবাব, ' মানুষ যখন কথা বলছে, তখন আমাদের উচিত মুখ বন্ধ রাখা। যেখানে মানুষ হইহই করে ছবিটি দেখে যাচ্ছে, এর থেকে বড় জবাব আর কীই বা হতে পারে '


দেবের সিনেমা 'প্রজাপতি' নন্দনে শো পায়নি। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। তাতে লেগেছে রাজনীতির রং। সাংসদ-অভিনেতা দেবের এখন প্রসন্ন জবাব, নন্দনে দেখানো হয়নি তো কী হয়েছে, আমি নন্দন চেয়েছিলাম যাতে বেশি মানুষ ছবিটি দেখেন। অন্য হলে তো মানুষ দেখছেন। '

আরও পড়ুন :


'ভেবেছিলেন দেবকে ভয় দেখাবেন', প্রজাপতি বিতর্কে ফের বিস্ফোরক মিঠুন, মুখ খুললেন দেবও


তিনি বলেন, ' আমি বরাবর খুব ইতিবাচক মনের মানুষ। শুটিংয়ের প্রথম দিন থেকে চেয়েছিলাম যেন মানুষ ছবিটি দেখে।আমার একমাত্র লক্ষ্য হলে কী ভাবে মানুষকে নিয়ে আসব। মানুষ দেখছে । দ্যাটস ইট। '

দেবের 'প্রজাপতি' সিনেমা নিয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, 'গরুর দুধ থেকে সোনা মডেলে দিলীপ ঘোষ সমালোচনা করছেন। আসলে প্রজাপতি ছবিতে দেব ভাল অভিনয় করলেও মিঠুন পারেননি। মিঠুন চক্রবর্তীর ফ্লপ অভিনয়ের জন্য প্রজাপতি ছবি দাগ কাটতে পারেনি। তাই ছবিকে হিট করতে বিজেপি এখন বিতর্ক টানার চেষ্টা করছে'। এই প্রসঙ্গে দেব বলেন, আমার কাউকে জবাব দেওয়ার নেই। আমার রাজনৈতিক কেরিয়ারটা একেবারেই আলাদা, অভিনয়টা আলা। সেটা গত ৮-৯ বছর ধরে আমি করতে পেরেছি। ' 

অন্যদিকে মিঠুন এই প্রসঙ্গে আরও একবার বিস্ফোরক। তিনি বলেন,  'গঙ্গারাম ভেবেছিলেন একটা পাথরে তিনটে শিকার করবেন, ভেবেছিলেন দেবকে ভয় দেখাবেন। দেব ভয় না পেয়ে অভিনেতা হিসেবে উত্তর দিয়েছে'। সেই সঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্রকে উদ্দেশ্য করে মিঠুনের হুঁশিয়ারি, 'এটা কিন্তু অশনি সঙ্কেত, মানুষ জাগছে, উত্তর দিচ্ছে।'