কলকাতা: ধস বিধ্বস্ত নাগরাকাটা পরিদর্শনে গিয়ে মারধরের মুখে বিজেপির সাংসদ ও বিধায়ক। গুন্ডামির শিকার হয়েছেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ও মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু। মাথা ফেটে গেছে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর। এই ঘটনার পর তীব্র নিন্দায় প্রধানমন্ত্রী।
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'জনগণের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে দলীয় সহকর্মীদের উপর হামলা। যেভাবে হামলা, তা তৃণমূলের অসংবেদনশীল আচরণকেই প্রকাশ্যে এনেছে। এই হামলা দেখিয়ে দিয়েছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা অবস্থা কতটা শোচনীয়', নাগরাকাটা-হামলার তীব্র নিন্দা করে তৃণমূলকে আক্রমণে প্রধানমন্ত্রী। 'আশাকরি এই কঠিন পরিস্থিতিতে হিংসার বদলে জনসেবায় মন দেবে তৃণমূল। সন্ত্রাসে সামিল হওয়ার বদলে জনগণের কথা ভাববে পশ্চিমবঙ্গ সরকার', সন্ত্রাসের প্রতিবাদ করে বিজেপি নেতা-কর্মীদের দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ। উত্তরবঙ্গের দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশ নরেন্দ্র মোদির।
বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। সাধারণ মানুষ জীবন যখন সীমাহীন দুর্ভোগে তখন বানভাসী পরিস্থিতিতে মিশল রাজনীতির চোরাস্রোত। ধস বিধ্বস্ত নাগরাকাটা পরিদর্শনে গিয়ে রক্তাক্ত হলেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। আক্রান্ত হলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তারপরই সেই নাগরাকাটায় দাঁড়িয়ে মুখ্য়মন্ত্রীর শান্তিবার্তাকে ঘিরে জোর তরজা শুরু হয়েছে। ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও সাংসদ বিপ্লব দেব বিজেপি সাংসদ-বিধায়কের আক্রান্ত হওয়ার ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লিখেছেন,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলায় 'জঙ্গল রাজ'!নাগরাকাটায় ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক ডঃ শঙ্কর ঘোষের ওপর নৃশংস আক্রমণ চালানো হয়েছে। ২৩ জনেরও বেশি মানুষের জীবনহানি, হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন, তবুও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় নাচে মগ্ন ছিলেন। এই হিংস্রতা বিজেপিকে মানুষের সেবা করা থেকে থামাতে পারবে না। গোটা ঘটনায় তৃণমূলকে নিশানা করেছে সিপিএম ও কংগ্রেস। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন , সরকারিতন্ত্র ও দলতন্ত্রে প্রভেদ নেই। RSS-এর প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী কাজ করছেন। স্বৈরতান্ত্রিক প্রবণতা। রাজ্য়ের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে।' প্রদেশ কংগ্রেস প্রাক্তন সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, কেউ সাহায্য করতে যাওয়া মানে এটা নয় যে তার সঙ্গে আমাকে শত্রুতা করতে হবে। তার মাথা ফাটিয়ে দিতে হবে। কেউ সাহায্য করতে যাচ্ছে তাকে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার মধ্য়ে কোনও বাহাদুরি তো নেই। মুখ্যমন্ত্রী কার্নিভালে নৃত্য করছেন। মানে রোম পুড়ছে। আর নেরো বাঁশি বাজাচ্ছে। বাংলায় দিদি সেটা প্রমাণ করে দিলেন। বাংলার মানুষের বিপদে আপনি নেই। 'বাংলায় ভোটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রক্তপাত।বিধানসভা ভোট আসতে এখনও বেশ কয়েকমাস বাকি। তার আগেই রক্তাক্ত হল রাজনীতি।