উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কৃষ্ণনগর : সামনে লোকসভা ভোট । যদিও লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি। কিন্তু, তার আগে গত মাসেই লোকসভা ভোট নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করে রেখেছেন নরেন্দ্র মোদি। NDA কতগুলো আসন পাবে ? বিজেপি এককভাবে কতগুলো আসন পাবে ? তা আগাম বলে দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, 'দেশের মেজাজ, NDA-কে ৪০০ পার করিয়েই ছাড়বে। কিন্তু শুধু ভারতীয় জনতা পার্টিকে ৩৭০ আসন দেবে। BJP-কে ৩৭০ আসন আর NDA-কে ৪০০ পার।' এ তো গোটা দেশ নিয়ে তাঁর দাবি। কিন্তু, বঙ্গে কি ফল ভাল করতে পারবে বিজেপি ? গতবারের আসন বাড়াতে পারবে ? নাকি স্বপ্নভঙ্গ করবে তৃণমূলের 'বিজয়রথ' ? এহেন নানা জল্পনার মধ্যেই গত বছ ডিসেম্বর মাসে কলকাতায় এসে লোকসভা ভোটে বাংলায় ৩৫টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়ে গেছেন অমিত শাহ। সেই লক্ষ্যমাত্রা এবার বাড়িয়ে দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। এরাজ্য থেকে ১০০ শতাংশ আসনেই জয়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, '৪২টি আসনের ৪২টিতেই পদ্ম ফোটাতে হবে।' আর এটা যে তাঁর কথার কথা ছিল না, তার প্রমাণ সভা পরবর্তী বৈঠক। অন্তত তেমনটাই বলছে রাজনৈতিক মহল।কৃষ্ণনগরের সভার পরই রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সুকান্ত ও শুভেন্দুর সঙ্গে প্রায় ১৬ মিনিট বৈঠক করলেন তিনি। 


সূত্রের খবর বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, বাংলা জুড়ে একটা আতঙ্কের পরিবেশ কাজ করছে। ২৫ থেকে ৩০টি থানা এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ রয়েছে। সমাজ বিরোধীরা নেতা হয়ে এই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছে। ভোট পরবর্তী হিংসা ও পঞ্চায়েত ভোট হিংসার পর মানুষ আরও আতঙ্কে ভুগছে। লোকসভা ভোটের জন্য ভয়মুক্ত পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন।


অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর কাছে রাজ্যের আইপিএস, আইএএস-দের একাংশকে নিয়ে নালিশ জানান সুকান্ত। 'এক শ্রেণির আইএএস, আইপিএস অফিসার শাসকদলের পার্টি ক্যাডার হিসেবে কাজ করছেন। যার ফলে রাজ্যে প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা শূন্য হয়ে গেছে।' এমনই অভিযোগ করে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীকে আর্জি জানান রাজ্য বিজেপির সভাপতি।


সূত্রের খবর, সুকান্ত-শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠকে রাজ্য বিজেপিকে নিয়ে সন্তোষপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'দলের ঐক্যবদ্ধ চেহারা দেখে আমার ভাল লাগছে। ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়তে পারলে লোকসভায় প্রত্যাশার থেকেও ভাল ফল হবে।' দলের রাজ্য সভাপতি ও বিরোধী দলনেতার সঙ্গে বৈঠকে বলেন প্রধানমন্ত্রী। এমনই খবর সূত্রের।