কৃষ্ণনগর: ১০০ দিনের কাজের টাকা থেকে তালিকা নিয়ে রাজ্যের একাধিক জায়গায় তীব্র অসন্তোষের ছবি প্রকাশ্যে এসেছিল। ১০০ দিনের কাজের টাকা না দেওয়ার অভিযোগ তুলে কলকাতা-দিল্লিতে সরব হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek banerjee) সহ তৃণমূল (TMC) নেতৃত্বরা। পাশাপাশি জব কার্ডে (Job Card) দুর্নীতিরও অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা। এবার বাংলায় এসে এই দুই অভিযোগের পাল্টা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। দোষ করেছে তৃণমূলই, এমনই মন্তব্যে ঘাসফুল শিবিরকে দুষলেন মোদি।                               


এদিন কৃষ্ণনগরের জনসভা থেকে নরেন্দ্র মোদি বলেন, 'যে ভাবে তৃণমূলের সরকার চলছে, তাতে বাংলা হতাশ। বাংলার মানুষ অনেক আশা নিয়ে তৃণমূলকে বারবার জনাদেশ দিয়েছে। কিন্তু টিএমসি বাংলার মানুষের সঙ্গে অত্যাচার ও বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। বিজেপি সরকার ৫ লক্ষ টাকার আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা দিচ্ছে। কিন্তু তৃণমূল সরকার গরিবের জন্য সেই প্রকল্প রাজ্যে চালু হতে দিচ্ছে না। দেশে বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও অভিযান চলছে। কিন্তু বাংলার সরকার এখানে চালু হতে দেয়নি। ১০০ দিনের কাজে ২৫ লক্ষ ভুয়ো জব কার্ড তৈরি করা হয়েছে। যে অর্থ গরিব মানুষের কাছে যাওয়ার দরকার ছিল, সেই টাকা তৃণমূলের তোলাবাজরা লুঠ করেছে। তৃণমূল সরকার সব স্কিমকে স্ক্যামে পরিণত করে'। 


১০০ দিনের কাজের পাশাপাশি রেশন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এদিন সরব হয়েছেন মোদি। তিবি বলেন, 'কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বাংলার ৬ কোটি মানুষকে বিনা পয়সায় রেশন দেয়। আগামী ৫ বছর বিনা পয়সায় রেশন দেওয়া হবে, এটা মোদির গ্যারান্টি। কিন্তু তৃণমূল গরিবের রেশন লুঠ করতেও পিছপা হচ্ছে না। বিজেপি সরকার দেশের উন্নয়নে অভূতপূর্ব পদক্ষেপ করতে চলেছে। কিন্তু বাংলার বিকাশ হলেই দেশের বিকাশ হবে। কিন্তু তার জন্য ৪২টি আসনেই পদ্ম ফোটাতে হবে'। 


আরও পড়ুন, ভয়ঙ্কর গরমে পুড়তে চলেছে বাংলা? আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে কী জানান হল?


তবে মোদি আসার আগে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া দেওয়ার ডেডলাইন দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  ২১ ফেব্রুয়ারি বকেয়া টাকা অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন মমতা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, '১০০ দিনের কাজের কর্মচারীদের তিন বছর ধরে টাকা দেওয়া হয়নি, তাঁদের কাজের টাকাটা আমরা তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেব'।