নয়াদিল্লি: লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে একদিকে ইন্ডিয়া (I.N.D.I.A) জোটের বৈঠক ঘিরে ছিল জল্পনা তুঙ্গে। গত ২৪ ঘণ্টায় একদিকে যখন কুলপি ইস্যুতে তৃণমূলের উপর ফুঁসছে রাজ্যের কংগ্রেস নের্তৃত্ব। ঠিক তখনই লোকসভা  নির্বাচনে বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে কংগ্রেস সভাপকিত মল্লিকার্জুন খড়্গের (Mallikarjun Kharge) নাম প্রস্তাব করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিকে রইল বাকি বুধবার। বলাইবাহুল্য মোদি-মমতার বৈঠকের দিকে তাঁকিয়ে ছিল গোটা দেশ। তবে প্রশ্নটা হচ্ছে মোদি-মমতার বৈঠকের কোথায় গিয়ে দাঁড়াল কেন্দ্রীয় বঞ্চনার ইস্যু ?


'সিনেমা তো দুই মাস পর..'


কয়েক মাস আগেই ১০০ দিনের কাজের টাকা-সহ কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগগুলিকে ঢাল বানিয়ে আগেই রাজধানীতে প্রতিবাদে বসেছিলেন অভিষেকরা। বলেছিলেন, 'দিল্লিতে যা হয়েছে, তা ছিল একটা ছোট ট্রেলর। সিনেমা তো দুই মাস পর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নের্তৃত্বে দেখানো হবে।' অবশেষে এল সেই বহু প্রতীক্ষিত সময়। যদিও এল অন্যভাবেই। '২ মাস তো হয়ে গেল পায়ে আঘাত লেগেছিল, এখন আপনার পা কেমন আছে?' ঘরে ঢোকা মাত্র মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন এদিন প্রধানমন্ত্রীর। শুরুটা এমনটাই ছিল। 


'..সেই বৈঠকে দু'পক্ষের তথ্য আদান-প্রদান হবে'


প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বললেন মুখ্যমন্ত্রী এদিন, '১০০ দিনের কাজে রাজ্যকে একটি পয়সাও দেয়নি কেন্দ্র। আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। সব ব্যাখ্যা দেওয়া সত্ত্বেও টাকা দেয়নি কেন্দ্র। এ নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের আধিকারিকদের মধ্যে যৌথ বৈঠক হবে। সেই বৈঠকে দু'পক্ষের তথ্য আদান-প্রদান হবে। বৈঠকে আমাদের কথা শোনার পর জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রের থেকে ১ লক্ষ ১৬ হাজার কোটি টাকা পায় রাজ্য। দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। 


আরও পড়ুন, ২০১৬-র মেধাতালিকা সিঙ্গল বেঞ্চে পেশের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ


প্রেক্ষাপট ২


বিষয়টা মোটেই অভিযোগের ছিল না। প্রেক্ষাপট পুরোটাই আলাদা। তবুও মনে করিয়ে দেয়, বিরোধী-শাসকদলের কুশল বিনিময় দুর্লভ মুহূর্ত। বছরটা ২০২০। কোভিড সংক্রমণ থেকে রাজ্যকে বাঁচাতে নবান্নে সেসময় মুখ্যমন্ত্রীর মুখোমুখি হয়েছিলেন বামফ্রন্টের তৎকালীন চেয়ারম্যান বিমান বসু। সেসময় কোভিড পরিস্থিতিতে বৈঠক করার সময় বিমান বসুর ছেঁড়া পাঞ্জাবিতে চোখ পড়ে গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর। অত্যন্ত যত্ন নিয়েই সেবার মমতা প্রশ্ন করেছিলেন, 'একী বিমানদা, ছেঁড়া পাঞ্জাবী পরে বেরিয়েছেন, তার  উপরে মাস্কও নেই, বয়েস হয়েছে তো আপনার।' মমতার এই কথা শুনে সেবার হেসে ফেলেছিলেন বিমান বসু। তবে তাতে মোটে সন্তুষ্ট না হয়ে মুখ্যমন্ত্রী সেবার বলেছিলেন কোনও অসুবিধা হলে তাঁকে যেনও অবশ্যই জানান তিনি।