কলকাতা: ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকলেও, বার্তা পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi)। বিশেষ বার্তায় এই কর্মসূচির প্রশংসা করেছেন নরেন্দ্র মোদি। এই কর্মসূচির মাধ্যমে সামাজিক সম্প্রীতি আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদী তিনি।
বিশেষ বার্তা নরেন্দ্র মোদির: এর আগে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। অন্য কর্মসূচি থাকায়, এদিন নরেন্দ্র মোদির বঙ্গ সফর বাতিল হয়েছে আগেই। সশরীরে উপস্থিত না থাকতে পারলেও লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ উপলক্ষে বিশেষ বার্তা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি উল্লেখ করেছেন, "এক লক্ষ মানুষের সমবেত গীতা পাঠের কর্মসূচি সত্যিই প্রশংসনীয়। পরম্পরা, জ্ঞান এবং দার্শনিক-আধ্যাত্মিক চিন্তাভাবনার মেলবন্ধনই আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এই সাংস্কৃতিক বৈচিত্র ও সম্প্রীতি আমাদের শক্তি। মহাভারতের সময় থেকে স্বাধীনতা আন্দোলন, বর্তমান সময়েও গীতা সকলের অনুপ্রেরণা। আমি নিশ্চিত, একসঙ্গে এত মানুষের কণ্ঠে গীতা পাঠ আমাদের সামাজিক সম্প্রীতিকে আরও জোরদার করার পাশাপাশি, দেশের উন্নয়ন-যাত্রাকে শক্তি জোগাবে। উন্নত, শক্তিশালী, অনন্য ভারত গড়ে তোলার জন্য ২০৪৭ সাল পর্যন্ত সুযোগ আছে।''
ব্রিগেডে আজ লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় রেজিস্ট্রেশন। শোভাযাত্রা করে অনুষ্ঠানে যোগ দেন দ্বারকার শঙ্করাচার্য সদানন্দ সরস্বতী। শঙ্খধ্বনির পর মূল অনুষ্ঠান শুরু। পড়া হবে গীতার ৫টি অধ্যায়। রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ব্রিগেড চত্বরে হাজির পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দ্বৈতাপতি-সহ বিভিন্ন সংগঠনের সাধু-সন্তরাও। লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের জন্য গোটা ব্রিগেড ময়দানকে ২০টি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে। প্রতি ব্লকে ৫ হাজার জন করে বসানোর ব্যবস্থা। গীতাপাঠের জন্য ব্রিগেডে তৈরি হয়েছে বিশাল মঞ্চ। যার নাম রাখা হয়েছে পার্থসারথি। দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে মঞ্চকে। বড় মঞ্চটি উঁচু। সেখানে বসেছেন দ্বারকার শঙ্করাচার্য সদানন্দ সরস্বতী, পুরীর মন্দিরের দ্বৈতাপতি-সহ সাধু-সন্তরা। বড় মঞ্চের নিচে ছোট মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। গীতা পাঠে গলা মেলাবেন ইমান আলি শেখ এবং ফরেজ লস্কররাও।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Ferry Service Disruption: ঘন কুয়াশার জেরে কম দৃশ্যমানতা, একাধিক জেলায় বন্ধ ফেরি চলাচল