কলকাতা: চোট-আঘাত, কার্ড সমস্যা নিয়ে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের (Mohun Bagan Supergiant) কোচ হুয়ান ফেরান্দো (Juan Ferrando)। শনিবার ঘরের মাঠে এফসি গোয়ার কাছে ১-৪-এ হারার পরও এই কারণগুলিই দেখালেন তিনি।
আইএসএলে ঘরের মাঠে এটিই তাদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার। তবে লিগের ইতিহাসে এর চেয়েও বড় ব্যবধানে হেরেছে তারা। ২০২১-এ মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে। গত ম্যাচে তিনজন নির্ভরযোগ্য ফুটবলার লাল কার্ড দেখায় এই ম্যাচে তাঁরা মাঠে নামতে পারেননি। তার ওপর রক্ষণের দুই খেলোয়াড় গ্ল্যান মার্টিন্স ও ব্রেন্ডান হ্যামিলের চোট লাগে।
অর্ধেক ফিট গ্ল্যান ও দীপক টাঙরিকে মাঠে নামাতে বাধ্য হন মোহনবাগান কোচ। সিনিয়র ডিফেন্ডার শুভাশিস বোসকে এ দিন চেনা ছন্দে পাওয়া যায়নি। ম্যাচের শেষ দিকে হ্যামিল চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে গেলেও তাঁর পরিবর্ত খেলোয়াড় নামাতে পারেননি ফেরান্দো। এই সময় প্রায় মিনিট কুড়ি দশজনে খেলতে হয় তাদের।
এই হতাশাজনক হার নিয়ে ফেরান্দো সাংবাদিকদের বলেন, “মুম্বইয়ের ম্যাচে কী হয়েছে আপনারা দেখেছেন। একাধিক লাল কার্ড। তার ওপর আমাদের একাধিক খেলোয়াড়ের চোট। আজ যারা প্রথম এগারোয় ছিল, তারাও সবাই পুরো ফিট ছিল না। তা সত্ত্বেও তারা সর্বশক্তি দিয়ে খেলার চেষ্টা করেছে। শেষে ২৫ মিনিট আমাদের দশ জনে খেলতে হয়েছে। এই ম্যাচের প্রস্তুতির জন্য আমাদের হাতে সময়ও ছিল না। এরকমই পরিস্থিতি আমাদের। এগুলো সবই আমাদের এই পারফরম্যান্সের কারণ, এগুলো অজুহাত নয়। বাস্তবটা মেনে নিতেই হবে এবং সামনের দিকে তাকাতেও হবে। আজ আমরা যাদের হাতে পেয়েছি, তাদের খেলাতে বাধ্য হয়েছি। এর চেয়ে ভাল কিছু করা বোধহয় সম্ভব ছিল না”।
ম্যাচের শুরুর দিকেই পেনাল্টি পেয়ে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন নোয়া সাদাউই। এই গোলের পরেই তাঁর দলের কাজ আরও কঠিন হয়ে পড়ে বলে মনে করেন ফেরান্দো। বলেন, “এত তাড়াতাড়ি ওরা পেনাল্টি থেকে গোল করার সুযোগ পেয়ে গেল! ওই সময় গোল খেয়ে গেলে, তাও আবার পেনাল্টি থেকে, পরিস্থিতি খুবই কঠিন হয়ে যায়। দলের অনেকেই আজ যে ভূমিকা পালন করেছে, তা প্রথমবারের জন্যই করেছে। তার ওপর যথেষ্ট চাপ সামলাতে হয়েছে। এই অবস্থায় খেলোয়াড়দের পাশে থাকাটা বেশি জরুরি। কৌশল, পরিকল্পনা এ সব নিয়ে কথা বলে লাভ নেই। এখন খেলোয়াড়দের কঠিন মানসিক শক্তিই বেশি প্রয়োজন”।