কলকাতা: মদনের (Madan Mitra) পর অর্জুন (Arjun Singh), আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নিশানা পুলিশ-প্রশাসনকে। 'অপরাধ বাড়লে জনপ্রতিনিধিদের ওপর প্রভাব পড়ে। মদনদা জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজের সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। যার অপরাধ দমন করার কথা, সে যদি না করে, তাহলে কে করবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা পুলিশের কাজ, তাদের রক্ষা করতে হবে।'মন্তব্য তৃণমূল নেতা ও ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহের।
শুক্রবার এক রোগীকে ICU-তে ভর্তি করানো নিয়ে, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে দালালচক্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মদন মিত্র। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, সরকারি হাসপাতালগুলিতে যুগ যুগ ধরে চলে আসা দালালচক্রে মদত দিচ্ছে কারা? দালালদের মাথায় হাত আছে কোন প্রভাবশালীদের? এই প্রেক্ষাপটে এদিন তদন্তের দাবি তুললেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। আর এবার পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হলেন সাংসদ অর্জুন সিংহ। কামারহাটির বিধায়কের পাশে দাঁড়ালেন ব্যারাকপুরের সাংসদ।
এদিন মদন মিত্র বলেন, “প্রত্যেক হাসপাতালে, প্রতিটা জায়গায় যারা এদের সাহস দিচ্ছে, বলছে আমরা আছি, আমরা ভর্তি করে দেব। এরা কারা? দালালের পিছনে কারা রয়েছে, তদন্ত হোক প্রতি জায়গায়। প্রতি হাসপাতালে একটা করে দালালবাজি রোখার জন্য একটা স্পেশাল পাওয়ারফুল কোর কমিটি হোক।’’ কার্যত মদনের সুরে সুর মিলিয়ে একই কথা বললেন তৃণমূল নেতা ও ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ। তিনি বলেন, 'অপরাধ বাড়লে সরাসরি প্রভাব পড়ে জনপ্রতিনিধিদের উপর। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা পুলিশের কাজ, তাদের রক্ষা করতে হবে।'
এদিকে কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের পর এবার এনআরএস হাসপাতালে দালালচক্রের পর্দাফাঁস। দুই দালালকে গ্রেফতার করেছে লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখা। পুলিশ সূত্রে খবর, রোগী ভর্তির নামে এনআরএসে অ্যাডমিশন র্যাকেট চালাচ্ছিল দালালরা। গতকাল এসএসকেএম, এনআরএস-সহ কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে অভিযান চালায় পুুলিশ। এনআরএস থেকে হাতেনাতে পাকড়াও করে দুই দালালকে। ধৃত গৌতম সরকার নদিয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা, নারকেলডাঙার ক্যানাল ওয়েস্ট রোডে বাড়ি অপর ধৃত বিলাস সিং ওরফে বান্টির। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, এসএসকেএমে ভর্তি করে দেবে বলে ১৫ হাজার টাকা চায় দালালরা। দিতে না পারায়, এনআরএসে ২ হাজার টাকা দিলেই ভর্তি হয়ে যাবে বলা হয়।
আরও পড়ুন: South Dinajpur: মাছ ধরে ফেরার পথে বিপত্তি, বজ্রপাতে মৃত্যু দুই ভাইয়ের