হিন্দোল দে, কলকাতা: ভাঙড়ে তৃণমূল-আইএসএফ (TMC-ISF) সংঘর্ষের ঘটনায় আইএসএফ (ISF) বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির (Nawsad Siddique) ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ। নৌশাদকে হেফাজতে পেল লেদার কমপ্লেক্স থানা।


নৌশাদের অভিযোগ:
পঞ্চায়েত ভোটে হেরে যাওয়ার ভয়ে চক্রান্ত করছে তৃণমূল (TMC), আদালতে পেশের আগে এমনটাই দাবি করেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক। পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, 'ধর্মকে অবলম্বন করে রাজনীতি করা উচিত নয়, গোটা বাংলায় একটামাত্র আসন পেয়েছে আইএসএফ। তৃণমূল এ নিয়ে ভাবছে না।'


এ দিন নৌশাদ সিদ্দিকিকে বারুইপুর আদালত আনা হলে, আদালত চত্বরে স্লোগান দিতে শুরু করেন আইএসএফ কর্মীরা। পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়।


আগে যা হয়েছে:
২১ জানুয়ারি, আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবসে ধর্মতলায় যাওয়ার পথে, ভাঙড়ের হাতিশালায় তৃণমূলের সঙ্গে আইএসএফ কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। যার জেরে ওই দিন রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ধর্মতলা চত্বর। ধর্মতলায় গন্ডগোলের ঘটনায় গ্রেফতার হন নৌশাদ সিদ্দিকি। এরপর ভাঙড়কাণ্ডে আইএসএফ বিধায়ককে হেফাজতে চেয়ে গতকাল বারুইপুর মহকুমা আদালতে আবেদন জানায় কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। আবেদন মঞ্জুর হওয়ায় শুক্রবার নৌশাদ সিদ্দিকিকে আদালতে তোলা হয়। 


ফোনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
পুলিশের দাবি ছিল, নৌশাদ সিদ্দিকির মোবাইল ফোনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য় মিলেছে। অ্যাকাউন্টেও কোটি কোটি টাকা জমা পড়েছে বলে দাবি কলকাতা পুলিশের। পুলিশের দাবি, এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখতেন নৌশাদ সিদ্দিকি। তাঁর সঙ্গেই মিলেছে একাধিক চ্যাট। পুলিশের দাবি, ওই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নৌশাদকে পরামর্শ দিতেন কীভাবে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাতে হবে। ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়কের দুটি ফোনই বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। আদালতের অনুমতি পাওয়ায় ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।  


আইএসএফ-এর ডাকে সর্বদলীয় কনভেনশনও হয়েছে। সেই কনভেনশনে হাজির ছিল সিপিএম, কংগ্রেস-সহ একাধিক রাজনৈতিক দল ও গণ সংগঠনের সদস্যরা। যদিও সেই কনভেনশনে ডাক পায়ানি বিজেপি। তা নিয়ে প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছিল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। নৌশাদ ও আইএসএফ নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে বারবার রাস্তায় নেমেছেন কর্মীরা। নাগরিক মঞ্চের ব্যানারে মিছিল হয়েছে। ঘটকপুকুরে এক আইএসএফ কর্মীকে ধরনা থেকে তুলতে গিয়েও সমস্যা হয়েছিল। ওই কর্মীকে বাধা দিতে গিয়ে জখম হয়েছিলেন এক পুলিশ কর্মী। মাথা ফেটে গিয়েছিল ওই পুলিশকর্মীর। 


আরও পড়ুন:  কীভাবে কারখানায় বিস্ফোরণ ? হুগলিকাণ্ডে ফরেন্সিক দল