হিন্দোল দে, আনন্দপুর: ফের 'আক্রান্ত' পুলিশ , এবার ঘটনা আনন্দপুরে (Anandapur Police Station)। অভিযোগ, গন্ডগোলের খবর পেয়ে আনন্দপুরের একটি পানশালায় (Pub) তদন্তে যান পুলিশকর্মীরা। অভিযোগ, সেখানেই এক সাব-ইনস্পেক্টরকে ধাক্কা (Police Got Assaulted) মারা হয়। সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধরেরও অভিযোগ ওঠে। আক্রান্ত হন এক হোমগার্ড। গোটা ঘটনায় এক আইনজীবী ও তাঁর বান্ধবীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা, পুলিশকে মারধর-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।


কী ঘটেছিল?
ইএম বাইপাসের উপরের ওই পানশালায় গত কাল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। পানশালায় যে কোনও গন্ডগোল হচ্ছে, সে খবর লালবাজার থেকে আনন্দপুর থানায় গিয়েছিল বলে জানা যায়। সেই থবর পেয়েই তৎক্ষণাৎ ওই পানশালায় পৌঁছন আনন্দপুর থানার পুলিশ আধিকারিকরা। তখন রাত ১টা। পুলিশ সূত্রে খবর, পৌঁছে তাঁরা দেখেন ওই পানশালায় এক আইনজীবী ও তাঁর বান্ধবী বসে রয়েছেন। ওই দু'জনই লালবাজারে গন্ডগোলের কথা ফোনে জানিয়েছিলেন, আরও খবর পুলিশ সূত্রে। দু'জন লালবাজারে ফোনে জানিয়েছিলেন, তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছিল। সেই অভিযোগের ব্য়াপারে আনন্দপুর থানার সাব ইনস্পেক্টর অরিন্দম সরকার তাঁদের কাছে জানতে চাইলে, তাঁকে ধাক্কা মারেন ওই আইনজীবী, এমনই অভিযোগ। ঘটনাস্থলে অরিন্দম সরকারের সঙ্গে ছিলেন এক মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার ও এক হোমগার্ডও। আইনজীবীর নাম সৌরভ মালিক বলে পুলিশ সূত্রে খবর। আনন্দপুর থানার আধিকারিকরা তাঁকে বলেছিলেন, আপনার কোনও অভিযোগ থাকলে সেটা লিখিত আকারে জানান। কিন্তু অভিযোগ, সৌরভ মালিক সে কথা না শুনে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি থামাতে এগিয়ে আসেন মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার। তখন তাঁর উপর  অভিযুক্ত আইনজীবীর বান্ধবী চড়াও হন বলে অভিযোগ। ছাড়া হয়নি ওই হোমগার্ডকেও। এর পরই বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে দু'জনকে গ্রেফতার করে। তদন্ত শুরু হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে।   


আগেও আক্রান্ত...
গত মে মাসে এগরার খাদিকুল গ্রামে বিস্ফোরণের শুধু বিক্ষোভ দেখানোই নয়, পুলিশের উর্দি টেনে ধরে ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ধাক্কাধাক্কির মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। এমনকি পরিস্থিতি এমন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল যে পুলিশকে লাঠি নিয়ে তাড়াও করেন গ্রামবাসীরা। দিনচারেক আগে আবার খাস কলকাতার, হরিদেবপুরে সিগনাল ভাঙায়, গাড়ি আটকানোয় ট্রাফিক সার্জেন্টের নাক ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্কুটার চালকের বিরুদ্ধে। সেখানে মার খান সিভিক ভলান্টিয়ারও। অভিযুক্ত স্কুটার চালককে গ্রেফতার করে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। তবে আনন্দপুর থানার আধিকারিকরা যে ভাবে আক্রান্ত হয়েছেন, তাতে ক্ষোভ ও বিস্ময়, দুটিই রয়েছে।


আরও পড়ুন:মন্দারমণির কাছে সমুদ্র সৈকত থেকে উদ্ধার অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার বিবস্ত্র দেহ