রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: ফের গণ্ডগোল থামাতে গিয়ে 'আক্রান্ত' পুলিশ। এবার মুর্শিদাবাদের (murshidabad news) রেজিনগরে পুলিশের (Police Attacked In murshidabad) ওপর হামলার অভিযোগ উঠল। পুলিশের গাড়িও ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, দুই গ্রামের মধ্যে বিবাদ থামাতে গেলে স্থানীয়রা পুলিশের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। রাতে বেলডাঙার এসডিপিও-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে বেলডাঙা থানার পুলিশ। 


কী জানা গেল?
অভিযোগ, তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীর পক্ষ নিয়ে গ্রামে যাওয়ায় পুলিশের উপর হামলা চলে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, বিধায়ক অনুগামীদের সঙ্গে ব্লক সভাপতি অনুগামীদের বিরোধের মাঝে পড়ে গিয়েছিল পুলিশ। বিধায়ক অনুগামীদের অভিযোগ, তৃণমূল ব্লক সভাপতি অনুগামীদের হয়ে গ্রামে যাওয়াতেই আক্রান্ত হয়েছে রেজিনগর থানার পুলিশ। এ রাজ্যে পুলিশ আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা একেবারেই নজিরবিহীন নয়। ক'দিন আগে নিউ মার্কেটে চাঁদার জুলুম আটকাতে গিয়ে এক ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ। সে বার শোনা গিয়েছিল, ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিতে না পারায় লরিচালককে হেনস্থা করা হচ্ছিল। বাধা দিতে যায় পুলিশ। তখনই মারধরের অভিযোগ ওঠে। আহত হন নিউ মার্কেট থানার অ্যাডিশনাল ওসি, এসআই, হোমগার্ড। গ্রেফতার করা হয় ৩ অভিযুক্তকে। 


পানশালার গণ্ডগোল থামাতে গিয়েও...
গত সেপ্টেম্বরে আবার ইএম বাইপাসের উপরে এক পানশালায় পুলিশের উপর চড়াও হওয়ার ঘটনা ঘটে। পানশালায় যে কোনও গন্ডগোল হচ্ছে, সে খবর লালবাজার থেকে আনন্দপুর থানায় গিয়েছিল বলে জানা যায়। সেই থবর পেয়েই তৎক্ষণাৎ ওই পানশালায় পৌঁছন আনন্দপুর থানার পুলিশ আধিকারিকরা। তখন রাত ১টা। পুলিশ সূত্রে খবর, পৌঁছে আধিকারিকরা দেখেছিলেন, ওই পানশালায় এক আইনজীবী ও তাঁর বান্ধবী বসে রয়েছেন। ওই দু'জনই লালবাজারে গন্ডগোলের কথা ফোনে জানিয়েছিলেন, আরও খবর পুলিশ সূত্রে। দু'জন লালবাজারে ফোনে জানিয়েছিলেন, তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছিল। সেই অভিযোগের ব্য়াপারে আনন্দপুর থানার সাব ইনস্পেক্টর অরিন্দম সরকার তাঁদের কাছে জানতে চাইলে, তাঁকে ধাক্কা মারেন ওই আইনজীবী, এমনই অভিযোগ। ঘটনাস্থলে অরিন্দম সরকারের সঙ্গে ছিলেন এক মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার ও এক হোমগার্ডও। আইনজীবীর নাম সৌরভ মালিক বলে পুলিশ সূত্রে খবর। আনন্দপুর থানার আধিকারিকরা তাঁকে বলেছিলেন, আপনার কোনও অভিযোগ থাকলে সেটা লিখিত আকারে জানান। কিন্তু অভিযোগ, সৌরভ মালিক সে কথা না শুনে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি থামাতে এগিয়ে আসেন মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার। তখন তাঁর উপর  অভিযুক্ত আইনজীবীর বান্ধবী চড়াও হন বলে অভিযোগ। ছাড়া হয়নি ওই হোমগার্ডকেও। এর পরই বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে দু'জনকে গ্রেফতার করে। তদন্ত শুরু হয়। 


 


আরও পড়ুন:'ছুটি দেন, বেতনও দেন না, ডিএ-ওদেন না', মুখ্যমন্ত্রীর ছটে-ছুটি নিয়ে কেন্দ্রকে খোঁচার জবাব দিলীপের