সত্যজিৎ বৈদ্য, হাওড়া: রাত পোহালেই বিজেপির নবান্ন অভিযান। তা ঘিরে পদ্ম শিবিরে যেমন তুঙ্গে উঠেছে প্রস্তুতি। তেমনই চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসনও। নবান্ন অভিযান ঘিরে প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ। নবান্ন অভিযান রোখার জন্য রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড দিচ্ছে পুলিশ-প্রশাসন। দ্বিতীয় হুগলি সেতুতেও শুরু হয়েছে ব্যারিকেড দেওয়ার প্রক্রিয়া।


কোথায় কীভাবে পরিকল্পনা:  
কলেজ স্কোয়ার থেকে দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে মিছিল হওয়ার কথা। সেই মিছিল হাওড়া ব্রিজেই আটকাবে পুলিশ। সূত্রের খবর, কলেজ স্কোয়ার থেকে এমজি রোড হয়ে নবান্ন যাওয়ার কথা রয়েছে ওই মিছিলের। তার আগে হাওড়া সেতুতেই বাধা দেওয়ার কথা। 


সেতুতেও পুলিশি নজর:
দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে ব্য়ারিকেড দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর ৮টি র‍্যাম্পেই থাকবে পুলিশ। বিজেপির মিছিল হাওড়ার দিকে যাওয়া আটকাতে পুলিশি ব্যারিকেড।


কত পুলিশ মোতায়েন:
সূত্রের খবর, বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে ২০০০ পুলিশ, ৩২জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার, ৬২জন ইন্সপেক্টর মোতায়েন থাকবে।


একাধিক রাস্তায় কড়াকড়ি: ১৩ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার, বিজেপির নবান্ন অভিযান। আর তা ঘিরে কলকাতার একাধিক রাস্তায় কড়াকড়ি করা হচ্ছে।



  • বন্ধ থাকতে পারে হাওড়া ব্রিজ-দ্বিতীয় হুগলি সেতু।

  • সকাল ১১-বিকেল ৩: এনসি স্ট্রিট, কলেজ স্ট্রিট এড়ানোর পরামর্শ।

  • কলেজ স্ট্রিট, এনসি স্ট্রিটের বদলে লেনিন সরণি-মৌলালি-এজেসি বোস রোড।

  • বেলা ১২টা থেকে বন্ধ থাকতে পারে আমহার্স্ট স্ট্রিট হয়ে এমজি রোডের একাংশ।

  • এমজি রোডের বদলে এপিসি রোড, শিয়ালদা উড়ালপুল ব্যবহারের পরামর্শ।

  • বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত হাওড়া ব্রিজ এড়ানোর পরামর্শ পুলিশের।

  • সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দ্বিতীয় হুগলি সেতু এড়ানোর পরামর্শ।


এরই মধ্যে উঠছে বিজেপি কর্মীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে বিজেপি কর্মীরা নবান্ন অভিযানে যোগ দেওয়ার জন্য ট্রেন ধরতে স্টেশনে এসেছিলেন। সেখানেই বিজেপি কর্মীদের বাধা দিতে দেখা গেল কিছু পুলিশকর্মীকে। উত্তরবঙ্গ জুড়েই বাধা দেওয়ার এই ছবিটা দেখা দিয়েছে সোমবার। স্টেশনে দাঁড়ানো স্পেশাল ট্রেনে উঠতে বাধা দেওয়ার ছবি দেখা গিয়েছে।


আলিপুরদুয়ারে প্রশ্ন:
আলিপুরদুয়ার স্টেশনে ভিড় করেছিলেন বিজেপি কর্মীরা। ট্রেন ধরে হাওড়া-কলকাতায় আসার কথা ছিল তাঁদের। সেখানেই তাঁদের বাধা দেয় রাজ্য পুলিশ। আলিপুরদুয়ার স্টেশনের মধ্যে ঢুকে বাধা দেওয়া হয়। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে খোদ আরপিএফ। আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ কীভাবে স্টেশনে ঢুকে এই কাজ করতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশের এক্তিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আরপিএফ। 


আরও পড়ুন: সপরিবার দুগ্গা ঠাকুরের চোখধাঁধানো সাজের বাজার এই গ্রাম, ঘুরে আসুন বনকাপাসি