কলকাতা: যাদবপুরকাণ্ডে (Jadavpur University) আরও ২ জন প্রাক্তনী ও ১ বর্তমান পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করল পুলিশ। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় যাদবপুর থানায় ৩ জনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এদের নোটিস পাঠিয়ে তলব করেছিল পুলিশ। এরপর দুপুর নাগাদ যাদবপুর থানায় (Jadavpur Police Station) জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয় এ দিন। জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন ঠিক কী ঘটেছিল? ব়্যাগিং নিয়ে অন্যান্য় তথ্যও জানতে চাওয়া হচ্ছে তাঁদের থেকে


গ্রেফতার কারা? প্রথমে ৩ জন এবং তারপর যাদবপুরের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে ৩ পড়ুয়া ছাড়াও ছিলেন ৩ জন প্রাক্তনী। এই নিয়ে যাদবপুরকাণ্ডে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হয় ৯। এ দের মধ্যে ৪ প্রাক্তনী ও ৫ জন পড়ুয়া রয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকে জিজ্ঞাসাবাদে একই বয়ান দিচ্ছিলেন পড়ুয়ারা। বয়ানের বাঁধা গৎ প্রাক্তনীদের শেখানো বুলি বলেই মনে করেছিলেন তদন্তকারীরা। এর পরই টানা জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে আরও কয়েকজনের নাম। ঘটনার পরেই কয়েকজন তড়িঘড়ি হস্টেল ছাড়ায় সন্দেহ বাড়ে পুলিশের। মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় আরও ৬ জনকে। 


নিরাপত্তা রক্ষীকেও তলব: যাদবপুরকাণ্ডে  মেন হস্টেলের নিরাপত্তা রক্ষীকে গতকাল তলব করেছিল লালবাজার। ঘটনার দিন হস্টেল সুপার ও ছাত্রদের নির্দেশেই তিনি গেট বন্ধ করেছিলেন বলে দাবি করেন নিরাপত্তা রক্ষী। ওইদিন হস্টেলে কী হয়েছিল, তাও জানিয়েছিলেন তিনি। এর প্রেক্ষিতেই এ দিন লালবাজারে তলব করা হয়েছে যাদবপুরের মেন হস্টেলের ওই নিরাপত্তা রক্ষীকে। সূত্রের খবর, একইসঙ্গে ফের ডিন অফ স্টুডেন্টস (Dean Of Student) রজত রায়কে ডেকে পাঠায় লালবাজার। বুধবার ঘেরাও হয়ে রয়েছেন বলে দাবি করে লালবাজারে যাননি ডিন।                         


নয়া নির্দেশিকা: এর পরেই নির্দেশিকা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত শুধুমাত্র গেটে, সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। রাত আটটা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত পরিচয়পত্র দেখিয়ে ক্য়াম্পাসে ঢুকতে হবে। ছাত্রমৃত্য়ুর পর অবশেষে সিদ্ধান্ত নিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়। যদিও, অনেকেই বলছেন, কেন সার্বিক নজরদারির জন্য় সর্বত্র সিসিটিভি ক্য়ামেরা লাগানো হবে না? কেন কিছু সময়ের জন্য় গেটে কড়াকড়ি হবে?


আরও পড়ুন: JU Student Death: যাদবপুর কাণ্ডের তদন্তে ফের নদিয়ায় কলকাতা পুলিশের দল