নদিয়া: যাদবপুরে ছাত্রের মৃত্যু (JU Student Death) নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। যাদবপুরকাণ্ডে ইতিমধ্যেই মৃত ছাত্রের বাড়িতে গিয়েছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। আর ঠিক এহেন পরিস্থিতিতে আজই নদিয়ায় মৃত পড়ুয়ার বাড়িতে পৌঁছয় সিপিএমের প্রতিনিধিরা। এদিকে একইদিনে যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তে ফের নদিয়ায় (Nadia) পৌঁছল কলকাতা পুলিশের দল (Kolkata Police)। নদিয়ায় মৃত ছাত্রের বাড়িতে যান এদিন তদন্তকারীরা। মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ (Police)। 


অপরদিকে আজই, যাদবপুরে কীভাবে মৃত্যু পড়ুয়ার,ঘটনার পুনর্নির্মাণ শুরু করা হয়েছে। তিনতলায় হস্টেলের ঘরে সেদিন কী ঘটেছিল? কোথায় লেখা হয়েছিল চিঠি?কোথায় বিবস্ত্র করা হয় পড়ুয়াকে? কোথা থেকে পড়ে যান ছাত্র? ধৃত ৯ জনকে আলাদা আলাদা করে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে পুননির্মাণ করবে পুলিশ। ইতিমধ্যে ১ ধৃতকে যাদবপুর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন ডিসি এসএসডি বিদিশা কলিতা দাশগুপ্ত।


যাদবপুরকাণ্ডে, হেনস্থার ভিডিও হাতে পেতে ফরেন্সিক ও প্রযুক্তির সাহায্য নিতে চলেছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। সূত্র মারফত খবর,'যাদবপুরের মানসিক হেনস্থা পর্বের ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়েছে', ধৃতদের জেরা করে ইতিমধ্য়েই তথ্য পেয়ে গিয়েছে পুলিশ। পরিচয়পর্ব চলার সময়ও ভিডিও তোলা হয়েছিল বলে জেরায় মিলেছিল তথ্য। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে ডিলিট করা হয়েছে ভিডিও, অনুমান পুলিশের।  


প্রসঙ্গত, নদিয়ার বাড়িতে গিয়েছিল তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। তিন মন্ত্রী ও এক সাংসদ ছিলেন এই প্রতিনিধি দলে। নদিয়ায় গিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, নারী ও শিশুকল্য়াণমন্ত্রী শশী পাঁজা ও সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। প্রতিনিধিদলে ছিলেন যুব তৃণমূলের রাজ্য় সভানেত্রী সায়নী ঘোষও।  নদিয়ায় যাওয়ার আগেই নিজের প্রতিক্রিয়া স্পষ্ট করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। নাম না করেই বিরোধীদের নিশানা করেছিলেন তিনি।


আরও পড়ুন, যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পর তৎপর বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ও, কী সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের ?


মূলত 'দল যে সর্বতভাবে যাদবপুরের ওই মৃত পড়ুয়ার পরিবারের পাশে আছে', সেই বার্তা পৌঁছে দিতেই নদিয়া গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ব্রাত্য বসু। তবে যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পর তিনি বলেছিলেন, 'কোথাও হয়তো তাঁর, আমাদের দলনেত্রীর প্রতি ভালবাসা আছে, তাঁকে দেখলেই রেরে করে ঝাপিয়ে পড়া,  যাদবপুরের একাংশের প্রবণতা হয়ে গিয়েছে।' শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেছিলেন, 'যাদবপুরে একাংশের প্রবণতা হয়ে গিয়েছে স্ট্যালিন-মাওয়ের নাম করে যেন কাউকে খুন করে দেওয়া যায়, ছাত্রকে ওপর থেকে ফেলে দেওয়া যায়, নৈরাজ্যকর অবস্থা। এদিকে তাকানোর সময় এতদিনে এসে গিয়েছে', মন্তব্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।