কলকাতা: ধর্মতলায় খণ্ডযুদ্ধ, ধৃত নৌশাদ সিদ্দিকি (Naushad Siddiqui) সহ ১৯ জনকে হেফাজতে চাইল পুলিশ। ব্যাঙ্কশাল কোর্টে জামিনের আবেদন নৌশাদ সিদ্দিকি-সহ ১৯ জন আইএসএফ কর্মী-সমর্থকের। 'ধৃতদের মধ্যে দুজন নাবালকও রয়েছে, কীভাবে এই আদালতে পেশ ?' দাবি আইএসএফের আইনজীবীর। নৌশাদ সিদ্দিকিদের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা পুলিশের।
হেফাজতে চাইল পুলিশ: সরকারি আইনজীবীর দাবি, 'বউবাজার থানার ওসি, অ্যাডিশনাল ওসিকে খুনের চেষ্টা করা হয়। 'ধৃতদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।' ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে নেওয়ার আবেদন পুলিশের। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা-সহ ১৪টি ধারায় মামলা কলকাতা পুলিশের। ধর্মতলায় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন চলছিল, দাবি আইএসএফের আইনজীবীর। বাইরে থেকে লোক ঢুকিয়ে অশান্তির চক্রান্ত শাসক পক্ষের, দাবি আইএসএফের আইনজীবীর।
ভাঙড়ে TMC-ISF সংঘর্ষ - দেদার বোমাবাজি - ধর্মতলায় ধুন্ধুমার - পুলিশ-ISF খণ্ডযুদ্ধ। টেনে হিঁচড়ে নৌশাদকে গ্রেফতার।পঞ্চায়েত ভোটের আগে ভাঙড়ে ফের তুলকালাম। আর তার আঁচে এসে পড়ল কলকাতার একেবারে প্রাণকেন্দ্রে ধর্মতলাতেও। শনিবার সকালে তৃণমূল-ISF সংঘর্ষ, ইটবৃষ্টি। বোমাবাজিতে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। আর বিকেলে পুলিশ-ISF'এর খণ্ডযুদ্ধে ধুন্ধুমার বাঁধে ধর্মতলায়।
শনিবার দিনটা যে অশান্ত হতে চলেছে, সেটা বোঝা গেছিল সকাল থেকেই। এদিন ছিল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা ISF-এর প্রতিষ্ঠা দিবস। সেই উপলক্ষ্যে পতাকা লাগানো নিয়ে ভাঙড়ে অশান্তির সূত্রপাত। ISF- এর অভিযোগ, ভাঙড়ের হাতিশালা মোড়ে পতাকা লাগাতে বাধা দেয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা জুলফিকার মোল্লার নেতৃত্বে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, পতাকা লাগানোর সময়, তাঁদের কর্মী সমর্থকদের গালিগালাজ ও মারধর করেন ISF'এর সদস্য়রা। ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূলের পার্টি অফিসে। পুলিশের সামনেই তৃণমূল এবং ISF-এর তুমুল সংঘর্ষ বেধে যায়।
পুলিশের সামনেই চলে দেদার ইটবৃষ্টি। শুরু হয় বোমাবাজি, ওঠে গুলি চালানোর অভিযোগও। দুপক্ষেরই বেশ কয়েকজন কর্মী সমর্থক আহত হয় বলে অভিযোগ। এরমধ্যেই ISF কর্মীরা একের পর এক গাড়িতে, কলকাতায় প্রতিষ্ঠা দিবসের কর্মসূচিতে রওনা দিতে থাকেন। তখনও ফের ISF-এর গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয় ভাঙড়ের ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির গাড়ি।
আরও পড়ুন: Malda: চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে দুর্ঘটনা! রেলকর্মীর তৎপরতায় রক্ষা!