কলকাতা: একজন জনপ্রিয় রাজনীতিক (Politician), তারকা তো বটেই। অপরজন ইউটিউবার (YouTuber), ফুডব্লগারদের (Food Blogger) আনাগোনায় এখন 'ভাইরাল' (Viral)। তবে সোশ্যাল মিডিয়া তাঁদের দু'জনকেই খুব ভালবাসে। এবার তাঁদের দেখা গেল একই ফ্রেমে। সাম্প্রতিককালে ভাইরাল হওয়া নন্দিনী গাঙ্গুলির (Viral Nandini Ganguly) হোটেলে হাজির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। 


নন্দিনী গাঙ্গুলির পাইস হোটেলে মদন মিত্র


ডালহৌসি ৩নং কয়লাঘাটের রাস্তার ফুটপাথ ধরে ভাতের হোটেল। রমরম করে চলা এই পাইস হোটেলের দায়িত্ব সামলান মা-বাবা-মেয়ে। সেই মেয়ে অর্থাৎ নন্দিনী গাঙ্গুলি এখন ভাইরাল। এবার তাঁর সাধের পাইস হোটেলে এসে হাজির হলেন স্বয়ং মদন মিত্র। চেখে দেখলেন নন্দিনীর হোটেলের খাবারও।


রঙিন শার্ট, ওয়েস্ট কোট, জিন্স, চোখে রোদচশমা। চেনা সাজে, চেনা মেজাজে, চেনা ঢঙেই দেখা গেল মদন মিত্রকে। চারিদিকে তখন গিজগিজ করছে অজস্র মানুষ, মিডিয়া, ক্যামেরার ঝলকানি। তারই মাঝে 'ভাইরাল' নন্দিনীর সঙ্গে কথা বললেন মদন মিত্র। তাঁর হোটেলের কোনও একটা আইটেম চেখে দেখারও আবদার জানালেন। আচমকাই সকলে চেঁচিয়ে উঠলেন 'ও লাভলি' বলে। তবে শুধু নন্দিনী ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন তাইই নয় মদন মিত্র তাইই নয়, সেলফির আবদার মেটালেন সাধারণ মানুষেরও। 



নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে নন্দিনী সাক্ষাতের সমস্ত ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেন মদন মিত্র। 


 



প্রসঙ্গত, দুই বছর আগে চাকরি ছেড়ে চলে আসেন নন্দিনী। কিন্তু মা-বাবাকে নিয়ে সুস্থ জীবন যাপনের জন্য ফের গুজরাতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। চলতি বছরের ২ জানুয়ারি ফ্লাইটের টিকিটও কাটা ছিল। কিন্তু তার আগে ২৩-২৪ ডিসেম্বর নাগাদ নন্দিনী জানতে পারেন তিনি ভাইরাল হয়ে গেছেন। এবিপি লাইভকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, 'বাংলাদেশ থেকেও এখানে এসেছেন ইউটিউবার। কিন্তু এরপর যখন নন্দিনীদিকে ভুলে যাবে সবাই, তখন আমার কী হবে? ভয় লাগে। অনেক ইউটিউবার ভাই এসে জিজ্ঞেস করে একদিন রানু দির মতো অবস্থা হলে! তখন আমি কী করব! ছোট্ট যে সম্বল একটা নিজের তৈরি করেছি, সেটাও হারিয়ে ফেলব। আজকের জন্য খুব খুশি, কিন্তু ভবিষ্যত ভেবে আমি-মা-বাবা প্রত্যেকেই আমরা কেঁদে ফেলি।'


আরও পড়ুন: Viral Nandini Exclusive : "অনেকে দুর্ব্যবহার করে", কেন আতঙ্কে ভুগছেন 'হোটেল দিদি নন্দিনী'


এই ডালহৌসির দোকান থেকে রান্না করে নিয়েই শিয়ালদা স্টেশনে প্যাকেটে করে বাবাকে খাবার বিক্রি করতেও দেখেছেন নন্দিনী। তিনি বলেছিলেন, 'কিছু একটা করে এতদিন চলছিল। কিন্তু এখন যখন গোটাটা হাইলাইট হয়েছে, আমার সঙ্গে এই দোকানটাও লাইমলাইটে এসেছে। এখন তাই এই আশা নিয়েই রোজ দোকানে আসছি, কোনওদিন যদি এমন কিছু মিরাকল হয় যে আমি নিজে থেকে কিছু করতে পারছি। বা যদি কোনও সহৃদয় ব্যক্তি আমাদের সাহায্য করতে চান, তাঁকেও হাত জোড় করে স্বাগত। নিজস্ব কিছু করতে চাই, যাতে পরবর্তীকালে কেউ এসে মাথার ছাদটা ছিনিয়ে না নিতে পারে। এটুকু আশা নিয়েই বেঁচে আছি।'