প্রকাশ সিনহা ও প্রদ্যোৎ সরকার: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের জেরে নদিয়ার চাপড়ায় বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগে আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন দুই অভিযুক্ত। অভিযুক্তরা হলেন হৃদয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য কালু শেখ ও ওই পঞ্চায়েতেরই অস্থায়ী কর্মী বিভাস বিশ্বাস। 


চাপড়ার বিজেপি কর্মী ধর্ম মণ্ডলকে খুনের ঘটনায় সিবিআই এর আগে আরও ২ জনকে গ্রেফতার করেছিল। এই দুজনের খোঁজ করছিল। গতকাল অভিযুক্তরা কৃষ্ণনগর মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে আত্মসমর্পণ করায় বিচারক ২ অভিযুক্তকে  ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। 


গত ১৪ মে নদিয়ার চাপড়ার হৃদয়পুরের বাসিন্দা ধর্ম মণ্ডল নামে এক বিজেপি কর্মী আক্রান্ত হন। মারধর করা ছাড়াও কোপানো হয় তাঁকে। এরপর ১৬ তারিখ মারা যান ওই বিজেপি কর্মী। খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। 


এই ঘটনারই তদন্ত করতে ২৮ অগাস্ট চাপড়ায় যায় সিবিআই। এরপর হৃদয়পুর গ্রাম থেকে তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত বিজয় ঘোষ ও অসীমা ঘোষ নামে দু’জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন গোয়েন্দারা। দীর্ঘ জেরার পর তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।সেদিন হৃদয়পুর পঞ্চায়েত অফিসের সামনে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দলকে। যা নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা।


এদিকে, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের ঘটনায় আরও ৩টি এফআইআর দায়ের করল সিবিআই। এর মধ্যে নদিয়ায় একটি ও উত্তর ২৪ পরগনার দুটি। এনিয়ে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের ঘটনায় সিবিআইয়ের দায়ের করা এফআইআরের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৪।


অন্যদিকে, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের ঘটনায় এবার রাজ্য পুলিশের অফিসারদের তলব করা করা শুরু করল সিবিআই। সোনারপুরে বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগে আজ সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয় সোনারপুর থানার তৎকালীন তদন্তকারী অফিসার সুজয় দাসকে। 


অভিযোগ, ভোটের ফল ঘোষণার দিন পিটিয়ে মারা হয় বিজেপি কর্মী হারান অধিকারীকে। এই ঘটনায় আগেই গ্রেফতার করা হয় কয়েকজনকে।