রুমা পাল, কলকাতা: সিজিও কমপ্লেক্সের (CGO Complex) বাইরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে পোস্টার (Poster)। শিক্ষক নিয়োগে (Teacher Recruitment) দুর্নীতির প্রতিবাদে মমতার বিরুদ্ধে পোস্টার লাগানো হয় গতকাল রাতে। বিজেপি (BJP) যুব মোর্চার সদস্য বলে দাবি করে লাগানো হয় পোস্টার।
সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে পোস্টার: গতকাল রাত ১০টা। হঠাৎই সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে জড়ো হন বেশ কয়েকজন যুবক। বাইরে পোস্টার দেওয়া শুরু করেন। পোস্টারে লেখা ' বাংলার লজ্জা মমতা।' জানা গিয়েছে, ওই যুবকরা বিধাননগর যুব মোর্চার কর্মীর বলে পরিচয় দেন। কিন্তু কেন রাতের অন্ধকারে পোস্টার দিলেন তাঁরা? ওই যুবকদের বক্তব্য, অন্য সময় পোস্টার দিলে, পুলিশ বাধা দিতে পারে। তাই এই সময় পোস্টার দেওয়া। শুধু সিজিও কমপ্লেক্সই নয়, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে গতকাল রাতে সল্টলেকের একাধিক জায়গায় পোস্টার দেন তাঁরা।
কিন্তু কী কারণে এই পোস্টার দেওয়া? এক যুবক বলেন, "এসএসসি, টেট সহ একাধিক ক্ষেত্রে নিয়োগে দুর্নীতি হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। দিনের পর দিন আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। আর এই সিজিও কমপ্লেক্সে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাই এখানে পোস্টার দিলাম।'' এবিষয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, "অত্যন্ত আপত্তিকর কাজ। চাকরিপ্রার্থীদের যন্ত্রণা তো অবশ্যই রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কেউ যদি অন্যায় করে থাকেন তাঁর নিন্দা তো আমরা করছি। এর তদন্তেরও দাবি জানিয়েছি আমরা। শূন্যপদ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি যাঁদের দায়িত্ব দিলেন, তাঁরা যদি কাজ না করে অন্যায় করেন, সেটা ভয়ঙ্কর বাজে জিনিস। এটা করতে গিয়ে যখন জট খোলার চেষ্টা হচ্ছে, সেই সময় একুশের বিধানসভা নির্বাচনে যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে পারেননি, তাঁরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য এই সব করছেন। সিজিও কমপ্লেক্সে যদি কেউ পোস্টার দিতে যায়, বোঝাই যাচ্ছে কারা করছে। এই অসুস্থ সংস্কৃতি বাড়তে দেওয়া উচিত নয়। কর্মপ্রার্থীদের যন্ত্রণা মেটানোর চেষ্টা সরকার করছে, সেই সময় ন্যক্কারজনক রাজনীতি করা উচিত নয়।''
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: আজই ৪ দিনের সফরে দিল্লিতে মমতা, আগামীকাল মোদি-সাক্ষাৎ