কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: গেট খুলে হিন্দু হস্টেল (Hindu Hostel) ‘দখল’ করল ছাত্রছাত্রীরা।  গেট খুলে হস্টেলে ‘দখল’ নিল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Presidency University)পড়ুয়ারা।  ক্লাস শুরু হলেও, কেন হস্টেল বন্ধ? এই  প্রশ্ন তুলে আন্দোলন শুরু করেছিলেন পড়ুয়ারা। বিশ্বভারতীর ধাঁচে ১ মাস ধরে প্রেসিডেন্সিতে আন্দোলন চলছে। এব্যাপারে এখনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি কর্তৃপক্ষের।


একই দাবিতে বিশ্বভারতীর ছায়া প্রেসিডেন্সিতেও পড়েছে। হস্টেল খোলার দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চলছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়েও। ক্যাম্পাসে রাত কাটাচ্ছেন পড়ুয়াদের একাংশ। বিক্ষোভে আটকে আছেন ডিন। পড়ুয়াদের দাবি, সরকারের নির্দেশ সত্ত্বেও হস্টেল খুলছে না কর্তৃপক্ষ।


দাবি একই। বিশ্ববিদ্যালয় খুলেছে। অতএব হস্টেলও খুলতে হবে। বিক্ষোভের পারদ চড়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান বিশ্বভারতী থেকে রাজ্যের প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে।


এক মাসের বেশি সময় হল রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন শুরু হয়েছে।  কিন্তু প্রেসিডেন্সির ছাত্রছাত্রীদের দুটি হস্টেলই  বন্ধই রয়েছে। দ্রুত হস্টেল খোলার দাবিতে ক্যাম্পাসে রাত কাটাচ্ছিলেন আবাসিক পড়ুয়াদের একাংশ।  প্রেসিডেন্সি ক্যাম্পাসেই প্রায় একমাস ধরে চলেছে অবস্থান বিক্ষোভ। ঘেরাও হয়ে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন। ডিনের ঘরের বাইরেই চলছে আন্দোলন।


বিশ্বভারতীতে দুটি হস্টেল ইতিমধ্যেই খুলেছে। কিন্তু প্রেসিডেন্সিতে হস্টেল খোলার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনও সদুত্তর পর্যন্ত মেলেনি বলে অভিযোগ করছেন পড়ুয়ারা।


বিশ্বভারতীতে ছাত্র আন্দোলনের মধ্যেই পদত্যাগ করেছেন রেজিস্ট্রার। মুখ খুলেছেন উপাচার্য। কিন্তু প্রেসিডেন্সির উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে এবিষয়ে জানতে ফোন ও এসএমএস করা হলেও, তাঁদের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। রাজ্য সরকারের নির্দেশ আছে, কর্তৃপক্ষ মনে করলে হস্টেল খুলতে পারে। কিন্তু তারপরেও কেন খোলা হয়নি হস্টেল? এই প্রশ্ন তুলে প্রেসিডেন্সির পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, দূরদূরান্ত থেকে পড়তে আসা ছাত্রছাত্রীরা সঙ্কটে পড়ে গিয়েছেন। বাধ্য হয়ে ক্যাম্পাসে রাত্রিবাস করছিলেন কয়েকজন। সব মিলিয়ে শান্তিনিকেতন থেকে প্রেসিডেন্সি, হস্টেল খোলার দাবিতে পড়ুয়া বিক্ষোভে সরগরম ক্যাম্পাস। এরইমধ্যে গেট খুলে হিন্দু হস্টেলে ঢুকে পড়লেন ছাত্রীছাত্রীরা। তাঁদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনও সদুত্তর না পেয়ে তাঁরা এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন।