কলকাতা: পাঁচ রাজ্যের সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। চার-চারটি রাজ্যেই সরকার গড়তে চলেছে তারা। এরমধ্যে রয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশ। শক্তি কিছুটা কমলেও উত্তরপ্রদেশে ফের ফুটেছে পদ্মই। সামনেই কেন্দ্রের শাসক দলের কাছে সবচেয়ে বড় পরীক্ষা রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়েই বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, চার রাজ্যে ভোটে জিতলেও আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপির কাজটা খুব একটা সহজ হবে না। কারণ, সারা দেশে মোট বিধায়কদের অর্ধেকও নেই বিজেপির।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য়মন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন খেলা এখনও শেষ হয়নি। তিনি বলেছেন, দেশের মোট বিধায়কদের মধ্যে অর্ধেকও নেই বিজেপির। তাই তাদের বড় বড় কথা বলা উচিত নয়। কারণ, সমাজবাদী পার্টির মতো দল ভোটে হারলেও নির্বাচক মণ্ডলীর দিক থেকে আগের বারের চেয়ে বেশি শক্তিশালী রয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন বিজেপির কাছে খুব একটা সহজ হবে না। দেশের যত বিধায়ক রয়েছেন, তাঁদের অর্ধেকও বিজেপির নয়। সারা দেশজুড়ে বিরোধীদের অনেক বেশি বিধায়ক রয়েছেন।
তিনি বলেছেন, এক্ষেত্রে সব কিছু এখনও শেষ হয়ে যায়নি। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে হেরেছে সমাজবাদী পার্টি। কিন্তু সেই সমাজবাদী পার্টির মতো দলগুলির আগের বারের চেয়ে বেশি বিধায়ক রয়েছেন।
উল্লেখ্য, সংসদ এবং রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির আইনসভার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত নির্বাচক মণ্ডলীর মাধ্যমে অপ্রত্যক্ষভাবে নির্বাচন করা হয় রাষ্ট্রপতিকে। এই নির্বাচক মন্ডলীর প্রত্যেক ভোটারের ভোটের অঙ্ক নির্ধারিত হয় ১৯৭১-এ সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির জনসংখ্যার ভিত্তিতে তৈরি ফরমুলা অনুসারে।
২০২৪-এ আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে টক্কর দিতে বিজেপি-বিরোধী জোট গঠনের কথা বারেবারেই শোনা গিয়েছে তৃণমূল নেত্রীর মুখে। তিনি বলেছেন, গোটা দেশ কেন্দ্রের শাসক দলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রস্তুত।
বিভিন্ন অ-বিজেপি, অ-কংগ্রেস বিরোধী দলের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। এরইমধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরেও বিজেপির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জের সুর শোনা গেল তৃণমূল নেত্রীর গলায়।