রানা দাস, কালনা (পূর্ব বর্ধমান) : কালনা পুরসভায় (Kalna Municipality) দলের ঘোষিত চেয়ারম্যানকে (Chairma) মানতে আপত্তি তৃণমূলের ১২ জন কাউন্সিলরের। শপথ গ্রহণে যোগ না দিয়ে প্রতিবাদ জানালেন বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলররা। তা নিয়ে কার্যত ধুন্ধুমার বাধল।
কালনা পুরসভার নতুন চেয়ারম্যান হয়েছেন আনন্দ দত্ত। দলেরই ১২ জন কাউন্সিলর তাতে আপত্তি জানিয়েছেন। উপ পুরপ্রধান তপন পোড়েলকে চেয়ারম্যান পদে চেয়ে এদিন প্রতিবাদ জানান বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলররা।
অন্যদিকে, আনন্দ দত্তর সমর্থনে পুরসভার সামনে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। টাউন হলের বারান্দা থেকে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে চিৎকার করে পুলিশকে বিক্ষোভ হঠানোর নির্দেশ দিতে দেখা যায়। মন্ত্রী জানিয়েছেন, দলের সিদ্ধান্তই মানতে হবে। কয়েকজন কাউন্সিলর পিছন থেকে ছুরি মেরেছেন।
আরও পড়ুন ; ' মাস্ক ছাড়াই সভায়, কিন্তু করোনা-ভয়ে গরহাজির অনুব্রত' আদালতে অভিযোগ সিবিআইয়ের
পুরভোটে আগেই দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছিল। এনিয়ে বিভ্রাটের জেরে রাজ্য জুড়ে অশান্তি ছড়ায়। এবার চেয়ারম্যান পদ নিয়ে অশান্তি বাধল কালনায়। বুধবার কালনায় যা ঘটল, তা নাটকের চেয়ে কোনও অংশে কম ছিল না।
আজ কালনা পুরসভার প্রধান নির্বাচন এবং শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল। যা নিয়ে কার্যত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল। গতকালই জেলা সভাপতি একটি তালিকা ঘোষণা করে দেন। কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে আনন্দ দত্তর নাম ঘোষণা করে তৃণমূল নেতৃত্ব। ভাইস চেয়ারম্যান তপন পোড়েল। কিন্তু, আনন্দ দত্তকে চেয়ারম্যান পদে মানতে নারাজ তপন পোড়েলের অনুগামীরা। তাঁদের দাবি, ভাইস চেয়ারম্যান তপন পোড়েলকেই করতে হবে পুরপ্রধান! এই নিয়ে তরজায় তেতে ওঠে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান।
অশান্তি এড়াতে বন্ধ ঘরে ভোটাভুটির প্রক্রিয়া শুরু হয়। অভিযোগ, সেই সময় তপন পোড়েলের অনুগামীরা আনন্দ দত্তর অনুগামী কাউন্সিলরদের ঘরের বাইরে বের করে দেন। যে ঘরে ভোটাভুটি হচ্ছিল, তার দরজায় লাথি মারতে থাকেন ভাবী চেয়ারম্যান আনন্দ দত্ত। কিছুক্ষণ পরে জানা যায়, ভোটাভুটিতে ১২ জন কাউন্সিলরের ভোট পেয়েছেন তপন পোড়েল। আর যাঁকে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব পুরপ্রধান করেছেন, সেই আনন্দ দত্ত পান ৪টি ভোট। তপন পোড়েলের অনুগামীরা বাইরে বেরিয়ে জয়োল্লাস শুরু করেন। সেই সময় মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ তাঁদের ঘরে ঢুকতে বলায়, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনিল বসু উত্তেজিত হয়ে পড়েন। মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায়। যা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়।