পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের আজ ৫০০ দিন। নিয়োগের দাবিতে হাজার দিন পার করে রাস্তায় এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা (Primary SLST Protest)। মুখে কালি মেখে, পিঠে প্রতীকী চাবুক মেরে চাকরি চেয়ে চলছে আন্দোলন।


প্রতিবাদ...
পড়শি রাজ্য বিহারে,১ লক্ষ ২০ হাজার অস্থায়ী শিক্ষক স্থায়ী হয়েছেন। কিন্তু বাংলায় মাসের পর মাস রাস্তায় চাকরিপ্রার্থীরা। এই সমস্যা মিটবে কবে? চাকরিপ্রার্থীদের আর্জি, প্রয়োজনে দু'ঘা চাবুক মারুক সরকার। কিন্তু তাঁদের চাকরির ব্যবস্থা করা হোক। এর আগে, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে গত মাসেই বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সকলের প্রশ্ন ছিল, দুই ঘণ্টার বৈঠক শেষে তবে মিটল দীর্ঘদিনের জটিলতা ?  পুরোপুরি না কাটলেও সরকারের তরফে 'আশার আলো' দেখতে পেয়েছেন এসএলএসটি আন্দোলনকারীর দল। এইভাবে ঘনঘন কমিউনিকেশন দুই তরফে চলতে থাকলে যে দ্রত সমস্যার সমাধান মিলবে, এনিয়ে প্রকাশ্যে দাবি করেন আন্দোলনকারীরা এবং একই সুর কুণাল ঘোষ তথা শিক্ষামন্ত্রী তথা ব্রাত্য বসুর। 


কুণাল ঘোষ এদিন বলেন, 'যাঁরা বাধা দিচ্ছেন , তাঁরাই আবার ধর্নামঞ্চে গিয়ে বিপ্লবী সাজছেন ! তাঁরা চাইছেন সেই ধর্নাগুলি চলুক, এবং সেই মঞ্চগুলিকে তাঁরা রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করবেন। কিন্তু আমাদের বক্তব্য, যাদের দোষে, এই ভূলগুলি হয়েছে, তাঁদের তদন্ত বিচার একটা পার্ট। কিন্তু চাকরির জটটা তো খুলতে হবে। যে ছেলেমেয়েগুলি এই কর্মপ্রার্থী হয়ে রয়েছে, সেই জটটা খোলার একটা প্রক্রিয়া চলছে। তার মধ্যে আইন একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে রয়েছে। ফলে আমরা আশাবাদী, অন্দোলনকারী এবং সরকারের মধ্য়ে একটা ঘনঘন কমিউনিকেশনের মধ্যে দিয়ে অদূর ভবিষ্যতে এই জটটা কাটবে।' তাঁর আরও দাবি, 'অভিষেক ও মমতার হস্তক্ষেপের ফলেই শূন্য পদগুলি বেড়েছিল।কারও না কারও ভূলেই জটটা পেকেছিল। এবার এখন জটটা খোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকার যখন সেটা করতে রাজি হলেন, তখন আবার সিবিআই চেয়ে আদালতে যাওয়া হচ্ছে।অনেকে চাইছে ইস্যুটাকে জিইয়ে রাখতে। আর আমরা চাইছি, যাদের চাকরি দরকার, সেই জট খুলে তাঁদের নিয়োগ, তাঁরা যেনও ক্লাসে গিয়ে ক্লাসটা নিতে পারে।'


অপরদিকে, ব্রাত্য বসু বলেছিলেন,'কিছু আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছিল। আমি বরাবরই বলে গিয়েছি, আদলতের নির্দেশক্রমে মহামান্য আদালত যেভাবে চাইবে, আমরা সেইভাবেই নিয়োগ দেব। আশা করছি যে এই আইনি জটিলতা তাড়াতাড়ি কেটে যাবে।  আমি আগেও যা বলেছিলাম, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই চাকরি দিতে পারেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই চাকরি দেবেন। এই জট আমরা দ্রুত কাটিয়ে দিতে পারবো।' কিন্তু জট মিটল কই? প্রাথমিকের এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদেরই বা কী হবে?


আরও পড়ুন:‘বাবার আমল থেকেই ব্যবসা, দলই ফাঁসিয়েছে’, বাড়ি থেকে ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধারে স্বীকারোক্তি BJP নেতার