কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: এবার রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক শিক্ষককে টেট পাস করতেই হবে, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদগুলিকে চিঠি দিল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।আগামী ২ বছরের মধ্যেই টেট পাস করতে হবে সমস্ত প্রাথমিক শিক্ষককে, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের।

Continues below advertisement

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে GST নিয়ে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর, 'সব টাকাটা গেছে রাজ্য় সরকারের কোষাগার থেকে, কৃতিত্ব নিচ্ছে একজন ! '

'যাঁদের ৫ বছরের কম চাকরি রয়েছে, তাঁদের টেট উত্তীর্ণ না হলেই চলবে। পদোন্নতি চাইলে টেট পাস করতে হবে। ৫ বছরের বেশি যাঁদের চাকরি রয়েছে, তাঁদের টেট পাস বাধ্যতামূলক। পরীক্ষায় যদি পাস না করেন, বা পরীক্ষায় বসতে না চান, তাহলে তাঁদের ছাড়তে হবে চাকরি। কিন্তু অবসরকালীন সমস্ত সুযোগ সুবিধা পাবেন'।১ সেপ্টেম্বর মহারাষ্ট্রের একটি মামলার প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি মনমোহন। মহারাষ্ট্রের মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ গোটা দেশে প্রযোজ্য, ব্যাখ্যা আইনজীবীদের।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদগুলিকে চিঠি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। চিঠিতে বলা হয়েছে,  আগামী ১৫ দিনের মধ্যে, কোন টিচার, তার ডেট অব বার্থ কত, জয়েনিংয়ের ডেট কবে ? এমপ্লয় আইডি, তার রিটায়ারমেন্টের ডেট এবং তার কী কোয়ালিফিকেশন রয়েছে, ১৫ দিনের মধ্যে সেটা জানাতে হবে। রাজ্যের প্রায় দেড় লাখ টিচার আছে, তড়িঘড়ি করে এই ইনফরমেশন নেওয়ার কারণ কী ? সেখানে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের একটা নির্দেশ, এবং সেই নির্দেশ কার্যকর করার তাগিদ দেখেই তাঁরা,এই নির্দেশ পাঠাচ্ছে। অর্থাৎ কোন টিচারের কোন কোয়ালিফিকেশন, তাঁর টেট আছে কিনা, সেটা জানার জন্য ১৫ দিনের মধ্যে, সেই রিপোর্ট পাঠাতে হবে। 

সুপ্রিম কোর্ট পয়লা সেপ্টেম্বর অর্ডার দিয়েছে যে, গোটা দেশেরই সমস্ত শিক্ষককে প্রাথমিক টেট পাশ করতে হবে।  এবং আগামী ২ বছরের মধ্যে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ২০০৯ থেকে যে শিক্ষার অধিকার আইন লাগু হয়েছে, ২০১২ থেকে রাজ্যে টেট চালু হয়েছে প্রাইমারিতে, কিন্তু তার আগে বহু টিচার , তারা টেট না দিয়েও, কিন্তু চাকরি করছেন। আমাদের রাজ্যের যেটা হিসেব পাওয়া যাচ্ছে, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে,  প্রায় দেড় লাখ টিচারের মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার টিচার , তাঁরা টেট না দিয়েই অতীতে তাঁরা চাকরি পেয়েছেন, বা যারা চাকরি করছেন। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে  যে, মহারাষ্ট্র সরকারের একটা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে, যাদের চাকরির ৫ বছরের কম বাকি রয়েছে, তাঁদের টেট পাশ করার দরকার নেই। যদি পদোন্নতি তাঁরা চান, তাহলে তাঁদের এই টেট পাশ করতেই হবে। বাকি যারা টিচার রয়েছেন তাঁদের প্রত্যেককে টেট পাশ করতেই হবে।