জয়ন্ত পাল, কলকাতা : দীর্ঘক্ষণ নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে মৃতদেহ উদ্ধার অধ্যাপকের। গতকাল সন্ধ্যায় হাঁটতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান মৌলানা আজাদ কলেজের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক (English Professor) অভিজিৎ শর্মা (৫১)। আজ সকালে উল্টোডাঙ্গা স্টেশনের (Ultadanga Station) কাছে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। ওই অধ্যাপক দমদম ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বাসিন্দা।


পরিবার সূত্রে খবর, প্রতিদিনই নিয়ম করে সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ হাঁটতে বেরোতেন অভিজিৎবাবু। রাত ৯টার মধ্যে তিনি ফিরে আসতেন। কিন্তু, গতকাল ৯টা বেজে গেলেও অভিজিৎবাবু না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করা হয়। এমনকী নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। 


এরপরে এদিন সকাল ১১টা নাগাদ পরিবারের কাছে ফোন আসে যে একজনের দেহ পাওয়া গিয়েছে যার সঙ্গে অভিজিৎবাবুর মিল রয়েছে। তার পরে পরিবারের তরফে দেহ শনাক্ত করা হয়। অভিজিৎবাবুর এক ছেলে রয়েছে। যিনি দিল্লিতে পড়াশোনা করেন। বাড়িতে স্ত্রী রয়েছেন। যদিও তাঁরা শোকে বিহ্বল। কোনও কথা বলতে চাইছেন না।


আলিপুরে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার-


প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগে আলিপুরে বহুতলের নীচে এক পরিচারকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। আত্মহত্যা (Suicide) না দুর্ঘটনা (Accident)? তদন্ত শুরু করে আলিপুর থানার পুলিশ। গোটা বিষয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে আলিপুর থানার পুলিশ। কী কারণে মৃত্যু তা এখনও জানা যায়নি। 


বহুতলের ফার্স্ট ফ্লোরের নিচেই বিট্টু কুমার রাওয়াত নামে বছর সাতাশের ওই যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। জি প্লাস সিক্স বিল্ডিংটি। তার একেবারে ফিফথ ফ্লোর অর্থাৎ ৬ তলার ফ্ল্যাটে দীর্ঘদিন ধরে ওই যুবক পরিচারকের কাজ করতেন। দোতলার ওপর যে ছাদের অংশ রয়েছে সেখানে তাকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। কীভাবে মৃত্যু তা খতিয়ে দেখা হয়। গোটা ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায় আবাসিকদের মধ্যে। 


এক নিরাপত্তারক্ষীর কথায়, 'বিট্টু এখানে পাঁচ বছর ধরে কাজ করছে। আমি সকালের ডিউটি করি। আজ সকালে যখন ডিউটি জয়েন করি তখন রাতের গার্ডের থেকে শুনি এমন কাণ্ড। তারপর বাকিদের খবর দেওয়া হয়। বাকি যা করার তারাই করেছে।'


ওই নিরাপত্তারক্ষীর কথায় যে ফ্ল্যাটে বিট্টু কাজ করত সেই ফ্ল্যাটের মালিকরা এখন কেউ নেই। এখন সেখানে অন্যান্য পরিচারকেরা থাকে বলে দাবি ওই রক্ষীর।