নয়া দিল্লি : দিল্লি হিংসার ঘটনায় পাঁচ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় সুরক্ষা আইন (NSA) আরোপ করল দিল্লি পুলিশ। এরা সংঘর্ষে ইন্ধন জুগিয়েছিল বলে অভিযোগ। সোমবারই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) জাহাঙ্গীরপুরী হিংসার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন দিল্লি পুলিশকে। তার পর আজ অভিযুক্তদের মধ্যে পাঁচ জন- আনসার, সেলিম চিকনা, ইমাম শেখ ওরফে সোনু, দিলশাদ ও আহিদের বিরুদ্ধে জাতীয় সুরক্ষা আইন আরোপ করা হয়। এদিকে এই হিংসার ঘটনায় দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ মঙ্গলবার গুলাম রসুল ওরফে গুল্লি নামে আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। এর সাথে সাথে এই ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৬।
কী হয়েছিল সেদিন ?
পুলিশ জানিয়েছে, হনুমান জয়ন্তীকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে সেদিন। সংঘর্ষের সময় পাথর-ছোড়া ও অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া যায়। এই ঘটনায় আট পুলিশ কর্মী ছাড়াও একজন স্থানীয় আহত হন। কিছু গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। অন্তত তেমনই জানিয়েছে পুলিশ।
এই ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা করেছে দিল্লি পুলিশ। তাতে ঘটনার পুঙ্খনাপুঙ্খ বিবরণ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
এদিকে দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী হিংসায় বাংলা-যোগ মিলেছে। হলদিয়ায় বাড়ি দিল্লিকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড মহম্মদ আনসারের। রাজ মালহোত্র নামে ফেসবুকে ভুয়ো প্রোফাইল রয়েছে আনসারের। ভুয়ো প্রোফাইল খুলে বন্দুক হাতে ছবি পোস্ট করে সে। দিন পনেরো আগেও হলদিয়ায় গ্রামের বাড়িতে এসেছিল মহম্মদ আনসারের স্ত্রী। এখন কুমারপুর গ্রামের সেই বাড়ি তালাবন্ধ। স্থানীয় সূত্রে খবর, আদতে অসমের বাসিন্দা হলেও শ্বশুরবাড়ির কাছে বাড়ি করেছিল আনসার। স্থানীয় সূত্রে খবর, ছাঁটের ব্যবসা থেকে কয়েকবছরের মধ্যে উল্কার গতিতে উত্থান হয় আনসারের। কোটি টাকার মালিক হয় সে। গত ৪-৫ বছর ধরে দিল্লিতে থাকলেও বছরে এক-দুবার গ্রামের বাড়িতে আসত আনসার।