অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম: বেহাল রাস্তার প্রতিবাদে রাস্তায় বাঁশ দিয়ে ঘিরে পথ অবরোধ (agitation) গ্রামবাসীদের (villagers)। দহিজুড়ি থেকে লালগড় (lalgarh) যাওয়ার রাস্তায় রানারানিতে পথ অবরোধ করা হয়। রীতিমতো উত্তেজক পরিস্থিতি। কিন্তু কেন এত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়লেন বাসিন্দারা?


কী অভিযোগ স্থানীয়দের?


গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কুশুম টিকরি থেকে রানারানি পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তার হাল অত্যন্ত খারাপ। সড়কের অবস্থা এতটাই বিপজ্জনক যে প্রায় প্রতি দিন কোনও না কোনও দুর্ঘটনা ঘটে। এদিকে এখানেই পোস্ট অফিস, উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র, স্কুলের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলি রয়েছে। ফলে বিপদ মাথায় রেখেই আমজনতাকে যাতায়াত করতে হয়। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, বার বার বলেও কোনও সুরাহা হয়নি। ফল? গুরুতর অসুস্থদের এখানে নিয়ে আসা যায় না। অন্যত্র নিয়ে যেতে হয়। 
সার্বিক ভোগান্তির প্রতিবাদে এদিন জেলাশাসকের বিরুদ্ধে সাদা কাগজে লালকালিতে লেখা পোস্টার হাতে পথ অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা। জানানো হয়, যত ক্ষণ পর্যন্ত উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এসে সুরাহার লিখিত আশ্বাস না দিচ্ছেন তত ক্ষণ অবরোধ চলবে। এদিনের অবরোধের ফলে সাধারণ মানুষকে সমস্যায় পড়তে হয়। 


আগেও অভিযোগ...


রাস্তার বেহাল দশার প্রতিবাদে বিক্ষোভ নতুন নয় ঝাড়গ্রামে। মাসদুয়েক আগেই কার্যত এক ছবি দেখেছিল পশ্চিমের ওই জেলা। আরও নির্দিষ্ট করে বললে গত মে মাসের ঘটনা। সে বার পাকা রাস্তার দাবিতে ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইলে টানা ৩০ ঘন্টা অবরোধ করেছিলেন গ্রামবাসীরা। সেখানেও জেলাশাসককে ঘটনাস্থলে আসতে হবে বলে দাবি জানানো হয়। শেষ পর্যন্ত জেলাশাসকের দফতরের এক আধিকারিক বিক্ষোভস্থলে গিয়ে পাকা রাস্তার আশ্বাস দেন। তারপরই অবরোধ ওঠে। জায়গায় জায়গায় রাস্তায় বেহাল দশা নিয়ে অভিযোগ সত্ত্বেও কেন টনক নড়ছে না প্রশাসনের? গা আলগা দেওয়ার অভিযোগ কি সত্যি? যদি তা-ই হয়, সেক্ষেত্রে এত ঢিলেমি কেন? 


প্রশ্ন উঠছে, খেদ বাড়ছে। ভোগান্তির সুরাহা চাইছেন সাধারণ মানুষ। 


আরও পড়ুন:১ কেজি ব্রাউন সুগার-সহ 'হাতেনাতে' গ্রেফতার ২ যুবক