সঞ্চয়ন মিত্র, অনির্বাণ বিশ্বাস, অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: ১০ মার্চ ধর্মঘটে (Strike) সামিল হওয়ায় খাদ্যভবনের (Khadya Bhavan) দুই কর্মীকে অবৈধভাবে বদলির বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। এই অভিযোগে খাদ্যভবনে বিক্ষোভ দেখাল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। ৫ ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখা হল দুই কর্তাকে। বৈঠকেও মিলল না রফাসূত্র।


বেআইনিভাবে বদলির নির্দেশের অভিযোগ: বকেয়া DA-র (Dearness Allowance) দাবিতে আন্দোলনের মাঝেই, এবার বেআইনিভাবে বদলির নির্দেশের অভিযোগে, বুধবার খাদ্যভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। প্রায় ৫ ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখা হল খাদ্যভবনের দুই কর্তাকে।


বদলির বিজ্ঞপ্তি জারি: বকেয়া DA-র দাবিতে, গত ১০ মার্চ রাজ্যজুড়ে ধর্মঘট পালন করেছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একটা বড় অংশ । অভিযোগ, সেই অপরাধে খাদ্যভবনের দুই কর্মী দেবু সিন্হা এবং সৌমেন্দ্রনারায়ণ বসুকে অন্য জেলায় বদলির বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় । এরই প্রতিবাদে খাদ্যভবনে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির (Strike) ডাক দেয় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ । সেই সঙ্গে এদিন প্রতিবাদ বিক্ষোভেও সামিল হন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ । 


সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক অর্জুন সেনগুপ্তের কথায়, ১০ মার্চের কর্মবিরতির পর সরকার বুঝতে পেরেছে, গোটা কর্মচারি শিক্ষক সমাজ তার বিরুদ্ধে চলে গেছে । এই জায়গায় দাঁড়িয়ে সরকার ভয় পেয়ে বেআইনি বদলির নির্দেশ দিয়েছে । তা যতদিন প্রত্যাহার না হচ্ছে, ততদিন খাদ্যভবনে কোনও কাজ হবে না, কম্পিউটার খুলবে না, কলম খাপ থেকে খুলবে না ।


শুধু বাইরে বিক্ষোভ নয়, খাদ্য দফতরের দুই কর্তা অজয় ভট্টাচার্য এবং সুমন ঘোষকেও ঘেরাও করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। প্রায় ৫ ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখা হয় তাঁদের । শেষমেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা বৈঠকে (Meeting) বসলেও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি ।


মন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যে কথায়, বেআইনিভাবে কোনও বদলির নোটিস দেওয়া হয়নি । এ দিকে খাদ্য দফতরের দুই কর্মীর বদলির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা হলে, আন্দোলন আরও জোরদার করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ ।


আরও পড়ুন: Nishith Pramanik: 'অভিষেক কোচবিহারে যেখানে যেখানে গিয়েছেন, সেখানেই তৃণমূলে ভাঙন ধরাব' চ্যালেঞ্জ নিশীথের


মিছিলে অনুমতি : উল্লেখ্য, বকেয়া ডিএ-র দাবিতে বৃহস্পতিবার কোঅর্ডিনেশন কমিটির মিছিলে অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি, সরকারি আইনজীবীর উদ্দেশে একাধিক প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। বললেন, কিছু দল যখন মিছিল করে, তখন গোটা কলকাতা স্তব্ধ হয়ে যায়। তখন পুলিশের অসুবিধা হয় না?