সৌমেন চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর: বঞ্চনার প্রতিবাদে এবার সব রাজনৈতিক দলের সংযোগ এড়িয়ে চলার সিদ্ধান্ত নিল কুড়মি সমাজ। তাদের হয়ে কাজ করতে হলে কেউ কোনও রাজনৈতিক দলের পদে থাকলে বা জনপ্রতিনিধি হলে পদত্যাগ করতে হবে। নির্দেশিকা না মানলে সামাজিক বয়কটেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে কুড়মি সমাজ। এই কর্মসূচিকে সরাসরি সমর্থন বা বিরোধিতা করতে পারছে না রাজনৈতিক দলগুলি।                           


বয়কটের হুঁশিয়ারি: কুড়মিদের হয়ে কাজ করতে গেলে থাকা যাবে না কোনও রাজনৈতিক পদে। নির্দেশিকা না মানলে করা হবে সামাজিক বয়কট। এবার হুঁশিয়ারি দিল কুড়মি সমাজ। কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষকে তপশিলি উপজাতিভুক্তদের আওতায় আনতে হবে। কোড-সহ সারনা ধর্মের স্বীকৃতি দিতে হবে। কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফশিলের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।একাধিক দাবিতে দফায় দফায় রাস্তা-রেল অবরোধ করেছে কুড়মি সমাজ।                                    

গত ১১ এপ্রিল নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ কুড়মি সমাজের বৈঠকে মেলেনি কোনও সমাধান সূত্র। বঞ্চনার প্রতিবাদে এবার সব রাজনৈতিক দলের সংযোগ এড়িয়ে চলার সিদ্ধান্ত নিল কুড়মি সমাজ। তাদের আন্দোলন আরও তীব্র করতে,মরদ ঢুঁড়া নামে নতুন এবার নতুন কর্মসূচি নিল তারা।তাদের দাবি, কুড়মিদের হয়ে যাঁরা কাজ করবেন, তাদেরকে খুঁজে বার করা। তবে এর জন্য় শর্ত আরোপ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়ছে,কেউ কোনও রাজনৈতিক দলের পদে থাকলে বা জনপ্রতিনিধি হলে পদত্যাগ করতে হবে। এমনকি সভা বা মিছিলেও যাওয়া চলবে না। নির্দেশিকা না মানলে সামাজিক বয়কটেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে কুড়মি সমাজ।                    


ঘাঘরঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুমন মাহাতো বলেন, “নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি সমাজের জন্য কিছু করেনি। জঙ্গলমহলে রাজনৈতিক সংকীর্ণতা ছেড়ে আন্দোলনে যোগ দিতে হবে। রাজনীতি কে আকড়ে ধরে রাখলে আমরা সামাজিক বয়কট করব।’’ কুড়মিদের এই নতুন কর্মসূচিতে বিপাকে পড়েছে শাসক-বিরোধী দু’পক্ষই। দুয়ারে কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে ভোটব্যাঙ্ক হারানোর ভয়ে কেউই সরাসরি সমর্থন বা বিরোধিতা করতে পারছে না।

আরও পড়ুন: Summer Lifestyle: গরমে সুস্থ থাকতে মানতেই হবে কোন কোন নিয়ম? রইল টিপস