বারাণসী: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে বিক্ষোভ বিজেপির। প্রতিবাদে আজ রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ দেখাবে তৃণমূল (tmc)। বারাণসীতে (varanashi) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (mamata banerjee) ঘিরে বিক্ষোভের প্রতিবাদে, বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের ব্লকে ব্লকে বিক্ষোভ দেখাবে তৃণমূল। কলেজের গেটে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে প্রতিবাদ জানানো হবে।  বাংলার সন্ত্রাস দেখে উত্তরপ্রদেশে (uttarpradesh) বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। মন্তব্য বিজেপির। 


বাংলায় যেদিন পুরভোটে সেঞ্চুরি করল তৃণমূল, সেদিনই নরেন্দ্র মোদির গড় বারাণসীতে পৌঁছলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিকেলে, বারাণসী বিমানবন্দরে নেমে সড়কপথে বারাণসী ঘাটের দিকে যাচ্ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘাটের প্রায় ২ কিলোমিটার আগে, একটি জায়গায় বিজেপি বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। 
 


একসময় গাড়ি থেকে নেমে আসেন মমতা। বিক্ষোভকারী বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, বারাণসীতে যেভাবে তাঁকে অভিনন্দন জানানো হল, তার জন্য তিনি কৃতজ্ঞ। কিন্তু এইভাবে তাঁকে ভয় দেখানো যাবে না। 


মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীরা কোনওরকমে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার পর, দশাশ্বমেধ ঘাটে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা গঙ্গারতি দেখেন তিনি। তবে তাঁর জন্য চেয়ারের বন্দোবস্ত করা হলেও, সাধারণ মানুষের সঙ্গে তিনিও ঘাটের সিড়িতে বসেই গঙ্গারতি দেখেন। সঙ্গে ছিলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা ও বাংলার প্রাক্তন মন্ত্রী কিরণময় নন্দ। 


গঙ্গার ঘাট থেকে হোটেলে ফেরার পথে ফের বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। ফের ওঠে জয় শ্রীরাম স্লোগান। গো ব্যাক স্লোগানও দেন বিক্ষোভকারীরা। এই ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ তৃণমূল। তাদের প্রশ্ন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং একটি দলের প্রধান নেত্রী। তাঁকে ঘিরে কীভাবে এমন বিক্ষোভ দেখানো সম্ভব?


মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির এত কাছাকাছি কী করে চলে এল বিক্ষোভকারীরা? এটা কি নিরাপত্তার গাফিলতি নয়? কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি? উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এই সব গুরুতর প্রশ্নই তুলছে তৃণমূল।


উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ট্যাগ করে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন ট্যুইট করে বলেছেন, ''Z প্লাস নিরাপত্তাপ্রাপক, প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী, ৩ বারের মুখ্যমন্ত্রী এবং ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারাণসীতে আক্রান্ত। অমিত শাহর উচিত অবিলম্বে যোগী আদিত্যনাথকে ডেকে পাঠানো এবং আইপিএস অফিসারকে সাসপেন্ড করা।


তৃণমূলনেত্রীকে ঘিরে বিজেপির বিক্ষোভের নিন্দা করে সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব ট্যুইটারে লেখেন, বিজেপির অবস্থা খুব খারাপ। কারণ দিদি আর ভাই একসঙ্গে রয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে এখনও লজ্জাজনক হারের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি বিজেপি। তাই বারাণসীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কালো পতাকা দেখানো হচ্ছে। এটি বিজেপির কর্মীদের আরেকটি হতাশার দিক, কারণ তাঁরা জানেন যে উত্তরপ্রদেশেও বিজেপি হারছে।


বৃহস্পতিবার সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে জনসভার করার পর, কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির দর্শন ও পুজো দেওয়ার কথা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুক্রবার তিনি কলকাতায় ফিরবেন।


এর আগে উত্তরপ্রদেশের প্রথম দফার ভোটের আগেও সমাজবাদী পার্টির হয়ে প্রচারে গেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।