ব্রতদীপ ভট্টাচার্য এবং অরিন্দম সেন, কলকাতা: এসএসসি (SSC), সিএসসি (CSC)-র পর এবার পিএসসি (PSC)-র পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। কালচিনির BDO-র নিয়োগ অবৈধ, এমনই অভিযোগ পিএসসি ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান দুর্নীতিমুক্ত মঞ্চের সদস্যরা। মুদিয়ালিতে PSC-ভবনের সামনে বিক্ষোভ দুর্নীতিবিরোধী মঞ্চের। অভিযোগ, সাড়ে ৩ বছর কেটে গেলেও PSC-র ক্লার্কশিপ পরীক্ষার মেধাতালিকা প্রকাশ হয়নি, নিয়োগও হয়নি। ২ বছর ধরে সরকারি চাকরিতে নতুন কোনও নিয়োগের পরীক্ষা হয়নি বলেও অভিযোগ। যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্ত বিডিও।


স্কুল, কলেজের পর এবার, নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল পাবলিক সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধেও। বৃহস্পতিবার মুদিয়ালিতে, PSC ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান দুর্নীতিমুক্ত মঞ্চের সদস্যরা। বিক্ষোভে ছিলেন সিপিএমের যুব সংগঠন DYFI-এর বেশ কিছু সদস্যও। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, ২০১৭ সালের WBCS পরীক্ষায় দুর্নীতি হয়। WBCS-এর মাধ্যমে চাকরি পাওয়া আলিপুরদুয়ারের কালচিনির BDO-র নিয়োগ অবৈধ। 


আরও পড়ুন, 'আমি মন্ত্রী, আইন আবার কী' কীভাবে একের পর এক নেতাদের সুপারিশ আসত! বিস্ফোরক SSC’র প্রথম চেয়ারম্যান


বিডিওকে অপসারণের দাবির পাশাপাশি, PSC-র ক্লার্কশিপ পরীক্ষার দ্রুত মেধা তালিকা প্রকাশের দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা। অভিযুক্ত বিডিওর বিরুদ্ধে টালিগঞ্জ থানায় এফআইআর করেন দুর্নীতিমুক্ত মঞ্চের সদস্যরা। এসএসসির নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে যখন তোলপাড় রাজ্য , তখন পিএসসিতে দুর্নীতির অভিযোগে চলল বিক্ষোভ। পিএসসি দুর্নীতিমুক্ত মঞ্চের আহ্বায়ক ইন্দ্রজিৎ ঘোষ বলেন, "বাংলা ও ইংরেজি পরীক্ষা না দিয়ে সাদা খাতা জমা দিয়ে ১৬২, ১৬৮ পায়। কোর্টে কেস হয়। আরটিআই রিপোর্টে দেখা যায় উনি প্রিলিতে ১৩ পেয়েছেন। দুর্নীতিগ্রস্ত বিডিওকে সরাচ্ছে না কেন? উনি এতদিন যে টাকা নিয়েছেন তা সুদ-সহ ফেরত দিতে হবে।" 


তাঁর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠলেও, পাল্টা আইনি লড়াইয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কালচিনির বিডিও। প্রশান্ত বর্মন বলেন, আমি হলফনামা দিয়েছি। তাদের বলুন মামলা আদালতে তুলতে। মামলাকারীদের মামলা তুলতে বলুন। বিচারবিভাগের প্রতি আস্থা আছে। সত্যের জয় হবে। নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে প্রতিক্রিয়া মেলেনি পিএসসি কর্তৃপক্ষের। এদিন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সচিবের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন দুর্নীতিমুক্ত মঞ্চের সদস্যরা।