কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: যোগী রাজ্যের পর এবার পশ্চিমবঙ্গ। 'রাজ্যের সরকারি ও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নষ্ট হলে অভিযুক্তের সম্পত্তিই নিলাম', বিধানসভায় আইনে সংশোধন আনল সরকার।


পশ্চিমবঙ্গে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট রুখতে যে আইন আছে, সেই ‘মেনটেন্যান্স অব পাবলিক অর্ডার অ্যাক্ট’-এ সংশোধনী আনার কথা আগেই জানান হয়েছিল। নিজস্ব উদ্দেশ্য সাধনের জন্য বা আন্দোলনের নাম করে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, লুট বা অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটে আকছার। সেই বিষয়টি যাতে না ঘটে তার জন্য অপরাধীর সম্পত্তি অ্যাটাচমেন্টের উপযোগী সংশোধনী আনা হয়।                                                              


এদিন বলা হয়, অভিযুক্তের সম্পত্তি নিলাম করে দিতে হবে ক্ষতিপূরণ। দ‍্য ওয়েস্ট বেঙ্গল মেনটেন্যান্স অফ পাবলিক অর্ডার বিলের সংশোধনী পাস। ২ মাসের মধ্যে আবেদনের ভিত্তিতে ৬ মাসে নিলামের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। 'বিরোধীদের আন্দোলনকে কণ্ঠরোধ করতে এই সংশোধনী', বিরোধীদের ফাঁসানোর চেষ্টা হতে পারে, অভিযোগ বিজেপির।


'আন্দোলন মানে কি ভাঙচুর করা?' জনস্বার্থে এই সংশোধনী, পাল্টা দাবি অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর।                                                  


আরও পড়ুন, নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের উঠে এল নতুন নাম! জানা গেল 'কালীঘাটের কাকু' আসলে কে!


উল্লেখ্য, সম্পত্তি ধ্বংসের পুরনো আইন অনুযায়ী, শাস্তি হিসেবে জেলের সর্বোচ্চ মেয়াদ ছিল ৬ মাস ৷ একইসঙ্গে সম্পত্তি ভাঙচুরের অপরাধে জরিমানা নির্ধারণ করত আদালত ৷ নয়া আইনে কারাবাসের সময় সর্বনিম্ন ৬ মাস ও সর্বোচ্চ ৭ বছর হতে চলেছে ৷ নতুন আইনে জরিমানা নির্ধারণের প্রক্রিয়াও বদলাচ্ছে ৷ ধ্বংস হওয়া সম্পত্তির বাজারদরই হবে জরিমানার অঙ্ক ৷সৌন্দর্য্যায়নের ক্ষতি করলেও একই ব্যবস্থা ৷সরকারি হোক বা বেসরকারি। গোলমাল, সংঘর্ষের ঘটনায় কোনও সম্পত্তি নষ্ট হলে তার ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকবে হামলাকারী।