সুদীপ চক্রবর্তী, ইসলামপুর: লাখো সতর্কতার পরও ক্রমশ বাড়ছে সাইবার অপরাধ (Cyber Crime)। মাথা চাড়া দিয়ে বাড়ছে হ্যাকার হানা। কখনও নিমেষেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে যাচ্ছে। কোথাও আবার ভুলো সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণা করা হচ্ছে। সাইবার অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) ইসলামপুরে (Islampur)। সেখানকার পুলিশ জেলায় চালু হচ্ছে সাইবার ক্রাইম থানা। চলতি মাসেই থানাটি চালু করারও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, গতবছর ডিসেম্বরে ইসলামপুর মহকুমা শাসকের নামে ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। সেই ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছে টাকাও চাওয়া হয়। এছাড়াও গত ১৬ নভেম্বর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসিয়াল প্যাডে ইসলামপুর পুরভোটের ১৭ জন প্রার্থীর তালিকা সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছিল। পরবর্তীকালে দলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল জানিয়েছিলেন সেই তালিকাটি ভুয়ো ছিল বলে। বিষয়টি নিয়ে সেসময় চাঞ্চল্যও ছড়িয়েছিল। ব্যাপক রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয় অন্যান্য দলগুলিতেও। নেট মাধ্যমে প্রতিদিনই নানারকম অপরাধমূলক কাজকর্ম হচ্ছে। তাই ইসলামপুর এলাকাতেই সাইবার অপরাধ দমন থানা তৈরি করার বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হল বলে মনে করা হচ্ছে। বুধবার নবান্ন থেকে পুলিশের এস্টাব্লিশমেন্ট ব্রাঞ্চ এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সচিন মক্কার জানিয়েছেন, চলতি মাসের মধ্যেই থানাটি চালু করার জন্য তোরজোর শুরু হয়েছে। তিনি আরও জানান, সাইবার ক্রাইম থানার জন্য পৃথক জায়গা দেখা শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। এছাড়াও আইসি'র পোষ্টিং করাতে হবে। মার্চ মাসের মধ্যেই থানা চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন - North Dinajpur News: ফোন না করায় 'মারধর', কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ কর্মীর
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েক বছর আগে চোপড়া, ইসলামপুর, গোয়ালপোখর, চাকুলিয়া ও ডালখোলা এই ৫ টি থানা নিয়ে পৃথক পুলিস জেলা তৈরি করেছেন। বছর খানেক আগে ডালখোলাকে পুলিশ থানা করা হয়। এবার ইসলামপুরে চালু করা হচ্ছে সাইবার ক্রাইম থানা। সূত্রের খবর, ইসলামপুর পুলিস জেলার পূর্বদিকে বাংলাদেশ সীমান্ত, পশ্চিমে বিহার সীমান্ত। এই এলাকায় অপরাধ দমনে পুলিশকে সবসময় সক্রিয় থাকতে হয়। অন্যান্য অপরাধের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাইবার অপরাধ। নানা মানুষ সাইবার ক্রাইমের শিকার হচ্ছেন। এবার নির্দিষ্ট করে সাইবার অপরাধ দমনের জন্য থানা হলে উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষ। এই থানাটি চালু হলে সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।