কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: সরকারি বৈঠকে মহিলা বিডিওর উদ্দেশ্যে অসম্মানজনক মন্তব্যের অভিযোগ উঠল। নাম জড়াল এক তৃণমূল নেতার। মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন বিডিও। যদিও অভিযুক্তর দাবি, বিডিওর সঙ্গে তিনি কোনওরকম অশালীন আচরণ করেননি।


কী অভিযোগ: 
বৈঠকে মহিলা বিডিওর (BDO) সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও অসম্মানজনক মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় কাঠগড়ায় পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির এক কর্মাধ্যক্ষ। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তাহ দুয়েক আগে সরকারি বৈঠকে, পূর্ব বর্ধমানের এক বিডিওর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন তৃণমূল নেতা শক্তিপদ পাল। অন্য কর্মাধ্যক্ষরা থামাতে চাইলেও, তিনি থামেননি। বিষয়টি স্বীকার করেছেন বৈঠকে উপস্থিত অন্যরাও। সেদিনের বৈঠকে উপস্থিত অন্য জনপ্রতিনিধিদের দাবি, বিডিওর উদ্দেশে সঠিক মন্তব্য করেননি কর্মাধ্যক্ষ। বর্ধমান ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও তৃণমূল নেতা অরুণ গোলদার বলেন, 'স্থায়ী কমিটির মিটিংয়ে আলোচনা চলাকালীন বিতর্কিত মন্তব্য করেন বাবলুদা। সেটা না করা ভাল ছিল। এটা নিয়ে ম্যাডাম ব্যথিত ছিলেন।'


অভিযোগ অস্বীকার:
বৈঠকে গন্ডগোলের কথা মানলেও, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শক্তিপদ পাল বলেন, 'এযাবৎকালে কারও সঙ্গে অশালীন ব্যবহার করিনি। হয়তো মিটিংয়ের মধ্যে কিছু গন্ডগোল হয়েছে। এধরনের ভাষা কোনওদিন বলিনি। যেখানে মিটিং হয়েছে সেখানে সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ আছে, দেখুন।'


শুরু তরজা:
এই অভিযোগ ঘিরে তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির (BJP) বর্ধমান সদর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, 'বিডিও সাহেবকে অশালীন মন্তব্য করেছেন, প্রয়োজনে ডিএমের গায়েও হাত তুলে দিতে পারে। এর আগে দেখেছি এসপিকে কীভাবে শাসিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।' 
পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূলের (TMC) মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, 'যদি কেউ এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই বিডিও আইনত ব্যবস্থা নেবেন। আমাদের দল এই ঘটনাকে প্রশ্রয় দেয় না।'


এই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি ওই বিডিও। বর্ধমান উত্তরের মহকুমাশাসকের কাছে লিখিতভাবে তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন। বিডিওর নির্দেশের প্রেক্ষিতে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।


আরও পড়ুন: লক্ষাধিক টাকার বিরল প্রজাতির কচ্ছপ উদ্ধার, গ্রেফতার ২ পাচারকারী