কমলকৃষ্ণ দে, বর্ধমান: রাতের অন্ধকারে গৃহবধূকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড হামলা (Acid Attack)। পূর্ব বর্ধমানে ঘটল এমনই ভয়ঙ্কর ঘটনা। গভীর রাতে শৌচাগারে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। বেরনোর সময় তাঁকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তড়িঘড়ি। এই মুহূর্তে চিকিৎসা চলছে তাঁর। তবে মুখ, গলা এবং হাত অ্যাসিডে দগ্ধ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে (Purba Bardhaman News)।
কে বা কারা অ্যাসিড ছুড়ল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে
পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। কী কারণে ওই গৃহবধূর উপর অ্যাসিড হামলা হল, কে বা কারা অ্যাসিড ছুড়ল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। অ্যাসিড হামলার পর গভীর রাতেই উদ্ধার করে ওই গৃহবধূকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতেই বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। গোটা ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
অ্যাসিড হামলায় আক্রান্ত গৃহবধূর পরিবার জানিয়েছে, বছর দেড়েক আগে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মারা যান ওই মহিলার স্বামী। তার পর থেকে শ্বশুরবড়িতেই রয়েছেন তিনি। স্বামী না থাকলেও, শ্বশুর, শাশুড়ি এবং দুই সন্তানকে নিয়ে সেখানেই রয়েছেন। শনিবার গভীর রাতে দুই সন্তানকে নিয়ে শৌচাগারে গিয়েছিলেন। সন্তানদের ঘরে ঢুকিয়ে, নিজে লোহার গ্রিলের দরজা বন্ধ করছিলেন। তখনই হামলা হয়। তাঁকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছুড়ে দেয় অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতী।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অ্যাসিডের সংস্পর্শে ওই গৃহবধূর মুখ, হাত এবং গলা দগ্ধ হয়েছে। গুরুতর ক্ষত চোখে পড়ছে। হামলার সময় ওই মহিলার চিৎকারে পরিবার এবং প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। কোনও রকমে উদ্ধার করে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসার পর সকালের দিকে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়। তবে ওই মহিলার অবস্থ পর্যবেক্ষণ করছেন চিকিৎসকরা।
সামগ্রিক ভাবে তদন্ত করতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে রায়না থানার পুলিশ
এই ঘটনায় ওই গৃহবধূর পরিবারের তরফে রয়না থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে অন্ধকারে হামলাকারীকে দেখতে পাননি আক্রান্ত মহিলা। তাই কে বা কারা জড়িত, তা স্পষ্ট নয়। কী কারণে তাঁর উপর অ্য়াসিড হামলা হল, তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। সবদিক খতিয়ে দেখছে রায়না থানার পুলিশ। সামগ্রিক ভাবে তদন্ত করতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে।