কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমান স্টেশনে ভাঙল জলের ট্যাঙ্ক। জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে জখম বেশ কয়েকজন, ঘটেছে মৃত্যুও। বর্ধমান স্টেশনে ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে ভেঙে পড়ে জলের ট্যাঙ্ক। প্ল্যাটফর্মের শেড ভেঙে গুরুতর জখম হন বেশ কয়েকজন। বর্ধমান স্টেশনে ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে বন্ধ ট্রেন চলাচল। এর আগেও বর্ধমান স্টেশনে দুর্ঘটনা। ২০২০-র ৪ জানুয়ারি, শতাব্দী প্রাচীন বর্ধমান স্টেশনের মূল প্রবেশদ্বার ভেঙে ১ জনের মৃত্যু।
জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার। বর্ধমান স্টেশনের ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে ভেঙে পড়ল জলের ট্যাঙ্ক। শেড ভেঙে গুরুতর জখম এখনও পর্যন্ত ২৭ জন। শেডের নীচে যাঁরা বসেছিলেন ,তাঁরা জখম হয়েছেন। তাঁরা সকলেই মূলত যাত্রী। জখমদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এই জলের ট্যাঙ্কটি বেশ পুরনো। সেটিই হঠাৎ করে ভেঙে পড়ে। উপর থেকে জল প্রবল বেগে নীচে যাত্রীদের গায়ে পড়ে। জলের ট্যাঙ্কের লোহার অংশ ভেঙে নীচে পড়ে। সেই সময়েই শেডও ভেঙে যায়। তারফলেই জখম হয়েছেন যাত্রীরা। এদিন এই দুর্ঘটনায় প্রবল ক্ষোভ ছড়িয়েছে সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে। বারবার বলা সত্ত্বেও কেন দেখভাল করা হয়নি সেই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে হুড়মুড়িয়ে জল পড়তে থাকে। প্ল্যাটফর্মের শেডের উপর ভেঙে পড়ে লোহার অংশ। বর্ধমান স্টেশনে এসে পৌঁছেছেন পুলিশের আধিকারিকরা। প্ল্যাটফর্মের শেডের কাঠামো ভেঙে পড়ে তার তলায় চাপা পড়ে যান অনেকে। আপাতত আটকে পড়া সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ভাঙাচোরা অংশ সরানোর জন্য গ্যাস কাটার নিয়ে এসে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ করা হচ্ছে। প্ল্যাটফর্ম জিআরপি অধীনে পড়ে। এই ঘটনায় রেলপুলিশ তদন্ত করবে। কার দায়, কার গাফিলতির কারণে এমন ঘটনা ঘটল তা খুঁজে দেখা হবে।
রেল চলাচলে বিঘ্ন:
এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। এর ফলে ১,২ ও ৩ নম্বর প্ল্য়াটফর্মে রেল চলচাল বিঘ্নিত হয়েছে। মূল তিনটি লাইন অফিস টাইমে ব্যস্ত থাকে। সেই লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত। লোকাল ট্রেন চলছে না। হাওড়া থেকে দূরপাল্লার ট্রেনও আপাতত দেরি হচ্ছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: ১৫ ডিগ্রিরও নিচে নেমে গেল তাপমাত্রা, কনকনে সকাল কলকাতায়