কমলকৃষ্ণ দে, গলসি: বজ্রপাতের (lightning) জেরে মর্মান্তিক মৃত্যু গলসিতে (galsi)। একই গাছের তলায় দাঁড়িয়ে থাকায় মারা গেলেন দু'জন। তড়িঘড়ি বর্ধমান মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হলেও বাঁচানো যায়নি তাঁদের।
কী হয়েছিল?
স্থানীয়দের দাবি, আজ সকাল থেকেই পূর্ব বর্ধমানের নানা প্রান্তে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হয়। বাদ যায়নি গলসিও। বৃষ্টির সঙ্গে বাজও পড়তে থাকে। তাতেই বিপত্তি। মৃত্যু হয় রাজা রুইদাস ও শেখ সাইদুলের।
২২ বছরের রাজা পেশায় রাজমিস্ত্রি। বাড়ি গলসির মসজিদপুরে। রবিবারও কাজে গিয়েছিলেন। বাড়ি ফেরার পথে বৃষ্টি নামলে অমরপুর এলাকায় একটি গাছের নিচে আশ্রয় নেন। সঙ্গে ছিল বাইক। একই গাছের তলায় মাথা গুঁজতে গিয়েছিলেন শেখ সাইদুলও। ৩৪ বছরের যুবক সাইদুল গলসির ইটারু গ্রামের বাসিন্দা। আমন ধানের বীজ রোপণ করতে খেতে এসেছিলেন। এমন সময়ই বৃষ্টি, সঙ্গে বাজ। গাছের তলায় রাজার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু বাজ পড়তেই দুজনের মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গ্রামবাসীদের কাছে খবর পৌঁছতে দেরি হয়নি। দ্রুত তাঁদের সাহায্য করতে পৌঁছে যান গ্রামবাসীরা। দুজনকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এলাকায় শোকের ছায়া
একসঙ্গে দুজনের মর্মান্তিক মৃত্যুর জেরে এলাকায় শোকের ছায়া। হঠাৎ করে রাজা ও সাইদুলের প্রাণহানিতে কথা বলার ক্ষমতা হারিয়েছে পরিবার। কী হবে এবার? তরতাজা দুটো প্রাণের অকালমৃত্যুর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা সহজ নয়, বলছেন স্থানীয়রা।
বর্ষার মরসুমে এই ধরনের ঘটনা অবশ্য বিরল নয়। চলতি বছরেই পূর্ব বর্ধমানে বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু পরিসংখ্য়ান কি প্রিয়জন হারানোর সান্ত্বনা ভোলাতে পারে? উত্তর খুঁজছে রাজা ও সাইদুলের পরিবার। তবে আজকের ঘটনার পর প্রমাদ গুণতে শুরু করেছেন অনেকেই। তবে কি বর্ষা মানেই আরও অনেকের মর্মান্তিক মৃত্যু অপেক্ষা করে আছে?
আরও পড়ুন:খসে পড়ল বাড়ি, মহানগরে পাঁচিল চাপা পড়ে মৃত্যু প্রৌঢ়ের