রাণা দাস, পূর্ব বর্ধমান: বেসরকারি (Private) ইংরেজি মাধ্যম (English Medium) স্কুলের (School) দেদার প্রশংসা তৃণমূল পুরপ্রধানের। আমার ছেলে বেসরকারি ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলে পড়ে, তার স্মার্টনেস দেখলে রাজ্যের (Govt) সরকারি স্কুল লজ্জা পাবে। খোদ তৃণমূল (TMC) পুর প্রধানের এই মন্তব্যে বিতর্ক চরমে। একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে ভিন্নমত কালনার তৃণমূল বিধায়কের। 


কী বলেছেন তৃণমূল বিধায়ক? 


‘আমার ছেলে বেসরকারি ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলে পড়ে। তার স্মার্টনেস দেখলে রাজ্যের সরকারি স্কুল লজ্জা পাবে’, বিধায়কের সামনেই মন্তব্য কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্তর। একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে সরকারি স্কুলকেই মান্যতা তৃণমূল বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগের। ভাল পড়াশুনো হয় সরকারি স্কুলে, দাবি তৃণমূল বিধায়কের। 


প্রসঙ্গত, গতকাল পুলিশের উদ্যোগে কালনায় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সূচনা হয়। কালনার তৃণমূল বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ অবশ্য সরকারি স্কুলকে সার্টিফিকেট দিয়েছেন। বিজেপির কটাক্ষ, রাজ্যের সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার আসল ছবি তুলে ধরায় কোপের মুখে পড়তে পারেন পুর চেয়ারম্যান। অস্বস্তি ঢাকতে সরকারি স্কুল নিয়ে পুর চেয়ারম্যানের মন্তব্যকে ব্যক্তিগত বলে দাবি করেছে তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব। 


আরও পড়ুন, 'শিক্ষা ও শিক্ষকজাতির অপমান' চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে খোলা চিঠি বিশিষ্ট সাহিত্যিক বিশী-কন্যার


এদিকে এ প্রসঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, "সরকারি স্কুলগুলির এমন হাল করে রেখে দিয়েছেন বাংলায়, যে নেতা মন্ত্রীদের ছেলেমেয়েরা বেসরকারি স্কুলে পড়ছে। তাঁরা ভাল শিক্ষাদীক্ষা পাচ্ছে। কিন্তু যাদের সরকারি স্কুলে পড়ানো ছাড়া গতি নেই তাঁদের কী হবে? সেখানে নিশ্চয়ই শিক্ষাব্যবস্থার মান খারাপ। তাই দুই তৃণমূল নেতার দুই মত। বাংলার শিক্ষামন্ত্রালয় এখন জেলের ভিতরে ঢুকে গিয়েছে। আর কিছু বাকি নেই।"     


এদিকে, আন্দোলনকারী SSC ও TET চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে, এবার খোলা চিঠি লিখলেন, বিশিষ্ট সাহিত্যিক এবং শিক্ষাবিদ প্রমথনাথ বিশীর মেয়ে চিরশ্রী বিশী চক্রবর্তী। অবসরপ্রাপ্ত এই অধ্যাপিকা লিখেছেন, শিক্ষা ও শিক্ষকজাতির প্রতি যে অপমান চলেছে দীর্ঘদিন ধরে, অবিলম্বে তার অবসান চাই। এদের যথার্থ স্থান হোক ক্লাসরুমে, ব্ল্যাকবোর্ডের সামনে। দিল্লির লেডি শ্রীরাম কলেজে ৩০ বছর অধ্যাপনা করে আসা, চিরশ্রী বিশী চক্রবর্তী এক খোলা চিঠিতে লিখেছেন, এরা আমার কেউ রক্ত সম্পর্কিত আত্মীয় নয়, এরা আমার আত্মার অঙ্গ। দুর্ভাগ্যক্রমে আমার এখন সে ক্ষমতা নেই। তাই লিখিতভাবে জানাই, যে এই শিক্ষা ও শিক্ষকজাতির প্রতি যে অপমান চলেছে দীর্ঘদিন ধরে, অবিলম্বে তার অবসান চাই। কেবল মুখের কথায় নয় কাজে করে দেখানো হোক।