কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: দীর্ঘদিন ধরে খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে হাসপাতালের সিটি স্ক্যান মেশিন (CT Scan Machine)। চূড়ান্ত হয়রানির শিকার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (Bardhaman Medical College and Hospital) রোগী ও রোগীর পরিজনেরা। 


খারপ সিটি স্ক্যান মেশিন, হয়রানি


বর্ধমান হাসপাতালের সিটি স্ক্যান মেশিন খারাপ দীর্ঘদিন ধরে। সেই কারণে রোগীদের (patients) ৫ কিমি দূরে অনাময় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে সিটি স্ক্যান করাতে বলা হচ্ছে হাসপাতালের তরফে। অভিযোগ, অনাময়ে সময় মতো সিটি স্ক্যান করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি রোগীকে নিয়ে অনাময়ে যেতে আসতে খরচ হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। অভিযোগ, রোগীর পরিস্থিতির কথা বিচার করে তবুও অনেকেই বাধ্য হচ্ছেন বেসরকারী সংস্থায় সিটি স্ক্যান করাতে। যা অবশ্যই ব্যয় বহুল।


হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে,গত তিন সপ্তাহের বেশী ধরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সিটি স্ক্যান মেশিন খারাপ হয়ে পড়ে আছে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৬০ থেকে ৭০ জন রোগীর সিটি স্ক্যান করার প্রয়োজন হয়। বাঁকুড়া, হুগলি, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া সহ ঝাড়খন্ড ও বিহার থেকেও রোগী আসে। ফলে হাসপাতালে রোগীর চাপ থাকে।


রোগীর পরিজনেদের অভিযোগ দীর্ঘ দিন সিটি স্ক্যান মেশিন খারাপ হয়ে পড়ে থাকায় চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন তাঁরা। যদিও হাসপাতাল সুপার তাপস কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, সিটি স্ক্যান মেশিন খারাপ থাকায় সত্যিই একটা সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু সিটি মেশিনের যন্ত্রাংশ জাপান অথবা কোরিয়া থেকে আনতে হয়। ফলে একবার বিকল হলে মেরামতিতে সময় লেগে যায়। একইসঙ্গে আগামী ৭ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলেও তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।


আরও পড়ুন: Jagdeep Dhankhar: রাজস্থানে গিয়ে বাংলার সমালোচনা রাজ্যপালের, ক্ষুব্ধ তৃণমূল


গোটা ঘটনায় শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর


এদিকে দীর্ঘদিন ধরে সিটি স্ক্যান মেশিন খারাপ হয়ে পড়ে থাকায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপি বর্ধমান সদর সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি বলেন, 'রাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যে ভেঙে পড়েছে তা বোঝা যাচ্ছে। আমরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি। পাশাপাশি রোগীদের স্বার্থে দ্রুততার সঙ্গে সিটি স্ক্যান মেশিন মেরামতি করা হোক তারও দাবি জানাচ্ছি।'


যদিও পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের পাল্টা দাবি, 'বিজেপির অভিযোগ করা কাজ তাই অভিযোগ করছে। স্বাস্থ্য দফতর ও বর্ধমান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার সমস্ত রকমের চেষ্টা করছে। যেহেতু বিকল হওয়া যন্ত্রাংশ বিদেশ থেকে আনতে হয় তাই দেরি হচ্ছে। তবে খুব তাড়াতাড়ি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।'