সোমনাথ দাস ও কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: ভয়ঙ্কর সড়ক (Gurap Road Accident) দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৭ জনের। গুড়াপের কংসারিপুর মোড়ে মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটে। প্রশাসন সূত্রে খবর, গুরুতর আহত তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।


যা জানা গেল...
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন ভোরে কংসারিপুর মোড়ে একটি যাত্রিবাহী টোটোকে ধাক্কা মারে ডাম্পার। ধাক্কার অভিঘাতে যাত্রী-সহ টোটোটি ডাম্পারের নিচে ঢুকে যায়। সকালে এমন ভয়ঙ্কর ঘটনার ফলে হইহই পড়ে যায় এলাকায়। ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে যান স্থানীয় মানুষজন, আসে পুলিশও। ডাম্পারের নিচে থেকে যাত্রীদের উদ্ধারে হাত লাগান সকলেই। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক ভাবে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ডাম্পারের নিচ থেকে মোট ৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছিল। চিকিৎসার জন্য প্রত্যেককে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে প্রথমেই তাঁদের ৩ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ডাক্তাররা। বেলার দিকে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে বলে জানা যায়। এই রাজ্যে এমন মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার খবর কার্যত নিয়মিত শোনা যায়। একথাও সত্যি যে ট্র্যাফিক আইন নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে প্রচারও নেহাত কম হয় না। কিন্তু তার পরও এমন ভয়ঙ্কর পরিণতিতে রাশ টানা যাচ্ছে না কিছুতেই।


বার বার এক ঘটনা...
গত অগাস্টের একটি পথ দুর্ঘটনা শহর কলকাতা তো বটেই, গোটা রাজ্যকে নাড়া দিয়ে গিয়েছিল। কোনও মফঃস্বল নয়, একেবারে খাস কলকাতার বেহালায় ওই ঘটনা ঘটে। স্কুলে যাওয়ার পথে লরির ধাক্কায় মারা যায় বড়িশা হাইস্কুলের প্রাথমিকের পড়ুয়া সৌরনীল সরকার। এই নিয়ে তুমুল হইচই শুরু হয়ে যায়। ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। পুলিশের গাড়ি, সরকারি দফতর সর্বত্র ভাঙচুর চলে। অগ্নিসংযোগও করে উত্তেজিত জনতা। ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতারও করেছিল কলকাতা পুলিশ। পথ দুর্ঘটনায় খুদের প্রাণের এমন অকালে চলে যাওয়ায় গণরোষের প্রকাশ দেখে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন অনেকে। তার পরও কি এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনায় ইতি পড়েছে? গত মাসেই যেমন মাধ্যমিক দিতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একদল পড়ুয়া। সে সময়ে তারা  মোটর বাইকে ছিল। গুরুতর জখম হয় তিন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীই। তিন জনকেই জামশেদপুরের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করতে হয়।  


আরও পড়ুন:মাঝরাতে ছাদে ২০ জনের ডাকাত দল ! ডালখোলায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি-মারধর