রাণা দাস, পূর্ব বর্ধমান: যার হাত ধরে চলতে শেখা, সেই জন্মদাত্রীকেই মার সন্তানদের ! বৃদ্ধা মাকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ছেলেমেয়েদের বিরুদ্ধে।


কৌশলে সম্পত্তি বিক্রির টাকা 'হাতিয়ে নিল' সন্তানেরা,জন্মদাত্রীকেই মার সন্তানদের !


কৌশলে মায়ের সম্পত্তি বিক্রির টাকা নিজেদের নামে করে নিয়েছে ছেলেমেয়েরা বলেও অভিযোগ। এই শীতের রাত্রে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে হচ্ছে বৃদ্ধা মাকে। অপরের দয়ায় মিলছে খাবার। কোনও কোনও দিন থাকতে হয় অভুক্ত। আশ্রয় পেতে মহাকুমা শাসকের দ্বারস্থ ৮৫ বছরের বৃদ্ধা।মেয়ের বাড়ীতে এলে নিজের মায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেয় মেয়ে।


স্বামী মারা গেছেন অনেক বছর আগে


পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকের সমুদ্রগড় এর নতুন পাড়ায় বৃদ্ধার বাড়ি স্বামী মারা গেছেন অনেক বছর আগে। বৃদ্ধার এক মেয়ে দুই ছেলে ।অভিযোগ, বাপের বাড়ির সম্পত্তি বিক্রির ১৫ লক্ষ টাকা ছেলেমেয়েরা কৌশলে নিয়ে নেয়। এরপর থেকেই আর দেখেন না ছেলে মেয়েরা। সমুদ্রগড়ের নিজের বাড়িতে থাকতে দেয় না ছেলে,তাড়িয়ে দেয়।


রাস্তায় মানুষজন খাবার দিলে খাবার জোটে ,না হলে অভুক্তই থাকতে হয়


অন্যদিকে  কালনায় থাকা মেয়ের বাড়িতে গেলেও মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এক বছরের বেশি সময় ধরে আশ্রয় না পেয়ে রাস্তায় রাস্তায় দিনরাত কাটছে তার। রাস্তায় মানুষজন খাবার দিলে খাবার জোটে না হলে অভুক্তই থাকতে হয়।নিজের মাথা গোজার ঠাঁই ফিরে পেতে কালনার মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হন তিনি।মহকুমা শাসক শুভম আগারওয়াল মৌখিক জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সম্পত্তির লোভে মাকে খুন


গত বছরেই সম্পত্তির লোভে মাকে খুন করে, প্লাস্টিকে মুড়ে বাড়ির মধ্যেই লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছিল ছেলে-বউমার বিরুদ্ধে। সন্দেহ এড়াতে নিজেই ফোন করে পুলিশকে মায়ের মৃত্যুসংবাদ জানিয়েছিলেন ছেলে। দাবি করেন, তাঁর মায়ের দেহ পড়ে আছে বা়ড়ি লাগোয়া নির্মীয়মাণ ঘরে।   মহেশতলা পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের জগন্নাথ নগর থেকে ৬৫ বছরের প্রভা নাথের পচাগলা দেহ উদ্ধার করেছিল মহেশতলা থানার পুলিশ।


আরও পড়ুন, যুবককে খুবলে যাচ্ছে কুকুর ! পাওনা টাকা চাওয়ায় পোষ্যকে দিয়ে আক্রমণ মালিকের, মর্মান্তিক ঘটনা রায়গঞ্জে


খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন মৃতের ছেলে ও বউমা। অভিযোগ, প্রৌঢ়াকে দিয়ে সম্পত্তি নিজেদের নামে লিখিয়ে নিতে চাইছিলেন তাঁরা। রাজি না হওয়ায় প্রৌঢ়াকে খুন করে প্লাস্টিকে মুড়ে ঘরের পাশে ফেলে রাখা হয়েছিল। পরে পুঁতে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। তার আগেই ধরা পড়ে গিয়েছিলেন মৃতের ছেলে-বউমা।