কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: মাছ নিজে হাতে ধরতে কার না ভাল লাগে। বিশেষ করে বর্ষায় কই মাছ, জলাশয় থেকে লাফিয়ে উঠে আসে ডাঙায়। তবে এবার কই মাছ ধরতেই গিয়েই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হল বাংলা। কই মাছ ধরতে গিয়েই প্রাণ হারালেন পূর্ব বর্ধমানের এক ব্যক্তি। মুখ দিয়ে গলায় ঢুকে গেল জ্যান্ত কই মাছ। তাতেই মৃত্যু হল তাঁর। মৃত ব্যক্তির নাম সাগর রায়।বাড়ি জামালপুর থানার জৌগ্রামে। 


স্ত্রীকে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় কই মাছ দেখতে পান সাগর। তিনটি মাছ ধরার পর তিনি  কিছু দূরে আরও একটি কই মাছকে লাফাতে দেখেন। একটি মাছ দাঁতে ধরে তিনি অন্য আরেকটি মাছ ধরতে যান। তখনই গলায় চলে যায় কই মাছটি। তা গলায় আটকে মৃত্যু হয়। জামালপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, মৃত ওই ব্যক্তির বাড়ি পান্ডুয়া থানা এলাকায়। জৌগ্রামের তেলে গ্রামে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া থাকতেন। বাড়ি ফেরার পথেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। সেখান থেকে উদ্ধার করে জামালপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


 সম্প্রতি ইলিশ মাছ ধরতে গিয়ে মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা। বঙ্গোপসাগরে ইলিশমাছ ধরার সময় ট্রলার থেকে পা পিছলে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল এক মৎস্যজীবীর। ৪৮ ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর,  উপকূল রক্ষী বাহিনী তল্লাশি চালিয়ে ফ্রেজারগঞ্জ থেকে ৭০কিমি দূরে সাগরের জল থেকে উদ্ধার করে ওই মৎস্যজীবীর নিথর দেহ। দেহ উদ্ধারের পর হলদিয়া নিয়ে যায় উপকূল রক্ষী বাহিনী। জানা যায়, মৃত ওই ব্যাক্তি কুলপির হাঁড়ার বাসিন্দা। নাম মোহন মাঝি । মৃত্য়ুকালীন বয়েস হয়েছিল ৫৫ বছর। 


আরও পড়ুন, শোনেননি 'বারণ', সেতু পার হতে গিয়ে জলের তোড়ে ভেসে গেল চালক-সহ গাড়ি ! ভিডিও ভাইরাল


গত ১১ জুলাই ডায়মন্ড হারবার সুলতানপুর মৎস্যবন্দর থেকে এফবি বাবা লোকনাথ ট্রলারে চেপে ১৪ জন মৎস্যজীবী ইলিশ ধরতে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিলেন।  গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার সময় আচমকাই পা পিছলে পড়ে যান ওই মৎস্যজীবী। নিখোঁজ হওয়ার পর মৎস্যজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে উপকূল রক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এরপরেই উপকূল রক্ষী বাহিনী আকাশ ও জলপথে তল্লাশি শুরু করে দেয়। তারপর মর্মান্তিক খবর প্রকাশ্যে আসে।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।