কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: জামালপুর থানার হৈবতপুর এলাকা থেকে এক অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হল। মহিলার দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। চাঞ্চল্য ছড়ালো জামালপুর থানার হৈবতপুর এলাকায়। দামোদর নদের পাড়ের জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় ওই মহিলার দেহ।


স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে দেখতে পান এক মহিলার অগ্নিদগ্ধ দেহ। এরপর তাঁরা পুলিশকে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান হাসপাতালের পুলিশমর্গে পাঠায়। দেহ যতক্ষণে উদ্ধার করা হয় ততক্ষণে শরীরের অধিকাংশ অংশ পুড়ে যায়। ফলে মহিলার বয়স অনুমান করা যাচ্ছে না। মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার।


কীভাবে অগ্নিদগ্ধ হলেন ওই মহিলা? ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত? এই সমস্ত কিছুর তদন্ত শুরু করেছে জামালপুর থানার পুলিশ।


আরও পড়ুন: Darjeeling: একের পর এক, ২৪ ঘণ্টায় ৩ শিশুর মৃত্যু উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে


অন্যদিকে গতকাল ভাইফোঁটার বিকেলেই বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে চিংড়িঘাটা মোড়ে। বেপরোয়া গতির বলি হন একজন, আহত ৬ জন। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, এদিন বিকেলে পৌনে চারটে নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। রাস্তা পার হওয়ার জন্য জেব্রা ক্রসিংয়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন পথচারীরা। সেই সময়ই দ্রুতগতিতে এসে এক গাড়ি সজোরে ধাক্কা মারে তাঁদের। সায়েন্স সিটি থেকে উল্টোডাঙার দিকে যাচ্ছিল গাড়িটি। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। জানা যায়, মৃত পথচারীর বয়স চল্লিশের আশপাশে। বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ গাড়ির চালককে আটক করে।


ভাইফোঁটার দিন সকালেই কলকাতায় দুর্ঘটনা ঘটে। বাঘাযতীন উড়ালপুল থেকে নামার সময় বেসরকারি বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয় স্কুটার আরোহীর। সকাল ৯টা নাগাদ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গড়িয়া স্টেশন থেকে বাগবাজারগামী বেসরকারি বাসটি বাঘাযতীন উড়ালপুল থেকে নামার সময় স্কুটারে ধাক্কা মারে। রাস্তায় পড়ে যাওয়ায় স্কুটার আরোহীকে পিষে দিয়ে চলে যায় বাস। যাত্রীদের অভিযোগ, চলন্ত বাস লাফ দিয়ে নেমে দৌড়ে পালান চালক ও কনডাক্টর। এক যাত্রী শেষে চলন্ত বাসটিকে থামান। পরে কনডাক্টরকে আটক করে সার্ভে পার্ক থানার পুলিশ। বাসের কয়েকজন যাত্রীও আহত হন।