মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) বুদবুদে জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা ডাম্পারের পিছনে গাড়ির ধাক্কা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গাড়ির ২ আরোহীর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আরও ২ জন। এদিন ভোর ৫টা নাগাদ বুদবুদে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতা থেকে কাজ সেরে গাড়িতে করে পানাগড়ের বাড়িতে ফিরছিলেন ৪ জন। জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা ডাম্পারের পিছনে ধাক্কা মারে তাঁদের গাড়ি। ডাম্পারের চালক পলাতক। 


ঠিক কী হয়েছিল?


রবিবাবর ভোর রাতে এই ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গিয়েছে। দুর্গাপুরের বুদবুদ বাইপাশে জাতীয় সড়কের ওপর এই দুর্ঘটনা ঘটে। সূত্রের খবর, কাজ সেরে কলকাতা থেকে বোলেরো গাড়ি করে পানাগড়ে নিজেদের বাড়িতে ফিরছিলেন সতেন্দ্র যাদব, দীনেশ যাদব, সন্তোষ রাম ও ইন্দ্রজিৎ চৌরাসিয়া। অফিসের কাজ সেড়ে দুর্গাপুর পানাগড় এ নিজেদের বাড়িতে ফিরছিলেন। 


আচমকাই বুদবুদ বাইপাশের কাছে জাতীয় সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা ডাম্পারে ধাক্কা মারে বোলেরো গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বছর আঠাশের সত্যেন্দ্র যাদব ও ৩৮ এর দীনেশ যাদবের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সন্তোষ রাম আর ইন্দ্রজিৎ চৌরাসিয়াকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে আনা হয়। দুই জনের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। রবিবার ভোর রাতের মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ জাতীয় সড়কের আসানসোলগামী লেনে যানজট তৈরি হয়। পড়ে বুদবুদ থানার পুলিশ পৌঁছে যানজট মুক্ত করে জাতীয় সড়ক,পুলিশই দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে এই চারজনকে।


তারকেশ্বরে তীর্থ করতে যাচ্ছিলেন পুণ্যার্থীরা


সাতসকালে মহেশতলার সম্প্রীতি উড়ালপুলে দুর্ঘটনা। গাড়ি উল্টে আহত হলেন ১০-১২ জন। আহতদের মধ্যে ৬ জনকে ভর্তি করা হয়েছে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনর দিন সকাল ৮টা নাগাদ গাড়িটি পুণ্যার্থীদের নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বুরুল থেকে তারকেশ্বর যাচ্ছিল। সম্প্রীতি উড়ালপুলে টায়ার ফেটে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, গাড়িতে ২৫ জন পুণ্যার্থী ছিলেন।


কিছুদিন আগে রামপুরহাট থেকে সিউড়ির পথে বাস-অটোর ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। প্রাণ যায় অটোর চালক ও ৮ মহিলা যাত্রীর। বেপোরোয়া গতির জন্যই কি দুর্ঘটনা? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে সাহায্যের ঘোষণা করেছে রাজ্য ও কেন্দ্র। রামপুরহাট থেকে সিউড়ির দিকে আসছিল দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের একটি বাস। আচমকা তেলডা মোড়ের কাছে, উল্টোদিক থেকে আসা যাত্রীবোঝাই অটোটিতে সজোরে ধাক্কা মারে বাসটি। ঘটনাস্থলেই কয়েকজনের মৃত্যু হয়।  পরে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে বাকিদের মৃত ঘোষণা করা হয়।